ডেস্ক রিপোর্টঃঃ
রোনার গ্রাসে মৃত্যু বাড়ছে ক্রমশ, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এহেন পরিস্থিতিতে কিছুটা আশার কথা শোনালেন বিশ্বের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরা। সর্দি কাশির উপসর্গ নিয়ে হাজির হওয়া করোনা ভাইরাস হয়তো লড়ে উঠতে পারবে না সূর্যের প্রখর তাপের সঙ্গে।
এই আশাতে ভর করেই এখন সঠিক সময়ের অপেক্ষায় বিশ্বের বিজ্ঞানীমহল।
নেশান হেলথ ইনস্টিটিউটের কর্তব্যরত এক বিজ্ঞানী অ্যান্থনি ফুসি বলেন, করোনার সংক্রমণ এর বিষয়টির দিকে একটু ভালো করে নজর দিলেই দেখা যাবে এই ভাইরাস সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে দক্ষিণের প্রদেশগুলোতে। যেখানে সেই সময় শীতের ভাগ বেশি ছিল।
আর ঠিক এই জায়গা থেকে আমরা আশা, গরমই হয়ত থামিয়ে দেবে করোনার হত্যালীলা, ‘কোভিড-১৯’ নিয়ে আশাবাদী বিজ্ঞানীরাতে পারি, পরিস্থিতি হয়তো স্বাভাবিক হবে গ্রীষ্মের সময় এলে।
পাশাপাশি আরও জানান, এই ভাইরাস শীতের সিজেনে যেহেতু বড় ভাবে প্রকট হচ্ছে সেহেতু দ্বিতীয় দফায় এটি নতুন করে শুরু হওয়ার আগে ভ্যাকসিন তৈরি করে নেওয়াটা একান্ত প্রয়োজনীয়। বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরীর বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথাও বলেন তিনি। তার অনুমান পরবর্তী শীতের সময় নতুন করে ফের প্রকট হতে পারে মারণ এই ভাইরাস।
একই দাবি করেছেন ভারতীয় বিজ্ঞানী মোহাম্মদ সাদাজি। তিনি বলেন, আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে ফুসফুসের বেশকিছু সংক্রমণ। করোনা যদি অন্য সংক্রমনের মত হয়, তাহলে গ্রীষ্মের সময় এর প্রাদুর্ভাব কমবে বলে আশা করা যেতে পারে। গরম বরাবরই ভাইরাসের সংক্রমণ কমিয়ে দিতে সক্ষম। এই আশা করা যেতে পারে, কিন্তু এটাই যে হবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই।
এদিকে চীনের একদল বিজ্ঞানীর দাবি, আবহাওয়া পরিবর্তিত হলই যে এই ভাইরাস কমে যাবে এটা ভাবাটা বোকামি। কারণ চীনের একাধিক প্রদেশে এই মুহূর্তে গরমের পরিমাণ বেড়েছে কিন্তু ভাইরাসের সংক্রমণ জারি রয়েছে সেখানেও। যদিও আগের তুলনায় তা কিছুটা কমেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।