শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৬ অপরাহ্ন
তাপস কর,ময়মনসিংহ:
ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুরে বৃষ্টি হলেই কাদা-পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে রাস্তাটি। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হয় এলাকবাসী ও ছোট ছোট যানবাহন চালকরা।
এলাকবাসী এর প্রতিকার চেয়ে জন প্রতিনিধি সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের কাছে মৌখিক আবেদন করেও কোন সাড়া পায়নি। তাই নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মাওহা ইউনিয়নে কুমড়ী গ্রামের মোড় হতে নহাটা বাজার পর্যন্ত দীর্ঘ ১ কিলোমিটরেন রাস্তা সংস্কার করতে নামে। স্থানীয় অটো চালক আন্জু মিয়ার নেতৃত্বে ১০/১২ জন অটো-শ্রমিক এই রাস্তা সংস্কারের কাজ করেন।
জানা গেছে, উপজেলার মাওহা ইউনিয়নে কুমড়ী গ্রামের মোড় হতে নহাটা বাজার পর্যন্ত দীর্ঘ ১ কিলোমিটরেন রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। ফলে রাস্তায় চলাচলকারী কুমড়ী, নহাটা, পাজুহাটী, কড়েহা ৪ গ্রামের শত শত মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হতো। তাছাড়া কয়েকদিন ধরে চলা বর্ষায় ওই রাস্তাটি একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়লে তা সংস্কারের উদ্যোগ নেন অটোচালকরা । অটো চালক আন্জু মিয়া প্রথমে তার সহযোগী অটোচালকদের নিয়ে রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু করেন। পরে এই মেরামতের কাজে যোগ দেন অটোচালক রেনু মিয়া,জহিরুল উসলাম,আবু মিয়া,আলতু মিয়া,জুলহাস মিয়া, সেলিম, লুট মিয়া প্রমুখ।
উল্লেখ্য ৪টি গ্রামের লোকজন চার দিকের যে দিকেই যাবেন অন্তত ২কিলোমিটার কর্দমাক্ত রাস্তা পাড়ি দিয়ে যেতে হয়। এলাকার লক্ষাধিক কৃষক তাদের কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে গিয়ে পড়েন চরম বিপাকে। স্কুল-কলেজ ও মাদরাসাগামী শিক্ষার্থীরাও এতোদিন এই রাস্তায় চরম দুর্ভোগের শিকার হয়ে যাতায়াত করেছে। অটোচালকরা বলেন, কুমড়ী মোড় হতে ১কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার কোন জন প্রতিনিধি রাস্তাটির সংস্কারে এগিয়ে আসেনি।
তাই রাস্তাটিতে স্বাভাবিক চলাচল অব্যাহত রাখতে আমারা মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছি। ওই রাস্তটি দিয়ে এখানকার ৪ টি গ্রামের মানুষ নিত্যদিন চলাচল করে। তাদের দুর্ভোগ দেখে সম্পূর্ণ মানবিক দিক বিবেচনা করে আমরা রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করেছি। তাই জনর্দুভোগ বিবেচনায় এই রাস্তাাটি জরুরী ভিত্তিতে পাকা করণের জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে ৪ গ্রামবাসী জোর দাবী জানিয়েছেন।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।