নোবিপ্রবিতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের পুনর্বাসনের অভিযোগ
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শরীরচর্চা বিভাগের আয়োজনে আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট মাঠে গড়িয়েছে।টুর্নামেন্ট কেন্দ্র করে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের পুনর্বাসনের অভিযোগ উঠেছে।এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।
গত ১১ নভেম্বর (সোমবার) থেকে নোবিপ্রবিতে শুরু হয় আন্তঃবিভাগীয় বার্ষিক ফুটবল টুর্নামেন্ট। টুর্নামেন্টের ১ম রাউন্ডে প্রাণীবিদ্যা বিভাগ বনাম ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন সায়েন্স বিভাগের ম্যাচে প্রাণীবিদ্যা বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মারোওয়া নুভান নামে এক শিক্ষার্থী খেলায় অংশগ্রহণ করে। নুভান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একজন কর্মী ও ভাষা শহিদ আবদুস সালাম হল শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ৫ই আগস্ট তিনি এক দফার কবর দেওয়া স্ট্যাটাস সহ স্বৈরাচার সরকারের পক্ষে মাঠে ছিলেন।
এছাড়াও ওশানোগ্রাফি বিভাগ বনাম এগ্রিকালচার বিভাগের মধ্যকার ম্যাচে ওশানোগ্রাফী বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেরাজ ইসলাম তুহিনকে খেলতে দেখা যায়। তুহিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহিদ আবদুস সালাম হল শাখার উপ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
স্বৈরাচারের দোসরদের এভাবে ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীদের পুনর্বাসনের একটা মাধ্যম হিসেবে দেখছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, “এই ছেলে গুলো আমাদেরকে নিয়মিত মেসেঞ্জারে হুমকি দিয়েছিলো আন্দোলনে যাবার কারণে। যেখানে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা সেখানে তাদেরকে উল্টো পুনর্বাসিত করছে প্রশাসনে থাকা কিছু দুষ্কৃতকারী।”
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “জুলাই বিপ্লবের সময় যারা আমার ভাইদেরকে শহীদ করেছে তারা আজ দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের তো কোন অনুশোচনা নাই-ই, উল্টো বুক ফলে চলছে। মনে হয় তারা কিছু করে নাই। তাদের এই সুযোগটা করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শরীরচর্চা বিভাগ। আমি মনে করি এই বিভাগের মধ্যে আওয়ামী দোসররা এখনো রয়ে গেছে যার ফলে তারা তার আত্মার সন্ত্রাসী ভাইদের বাধা দিতে পারছে না।”
এই নিয়ে শরীরচর্চা শিক্ষা বিভাগের কাছে জানতে চাইলে তারা জানায়, কোন বিভাগ থেকে অভিযোগ জানালে তারা অভিযুক্ত খেলোয়াড়কে অংশগ্রহণ করতে দিবে নাহ। তবে এগ্রিকালচার বনাম ওশানোগ্রাফী ম্যাচে তুহিনের বিরুদ্ধে শরীরচর্চা বিভাগকে অভিযোগ জানানোর পরেও তুহিনকে খেলতে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে শরীরচর্চা বিভাগের পরিচালকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোন সাড়া মিলেনি।
এ বিষয়ে নোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য ড. রেজুয়ানুল হক বলেন, কোন শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের সাথে সংশ্লিষ্ট থেকে ক্যাম্পাসে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থেকে থাকলে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে।
নিউজ রুমঃ [email protected] অথবা [email protected]
মোবাইল: +8809696195106 অথবা +8801715-395106
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com