স্বপন রবি দাশ,হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।
হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে
জালাল নামের এক ডাকাত পালিয়ে গেছে।এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জে ডাকাতের হামলায় ব্যবসায়ী মহসিন মিয়া নিহত হন। এর প্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্দেহভাজন ৫ ডাকাতকে আটক করে পুলিশ। এ সময় চার ডাকাত আহত হয়। তাদের হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তিন ডাকাতকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় নেওয়ার পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। আর গুরুতর আহত ডাকাত জালাল মিয়া ওরফে স্প্রিং জালালকে (৩২) হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। তিনি চিকিসাধীন অবস্থায় আজ শুক্রবার সকালে টয়লেটে যাওয়ার পর বের হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান।
হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার এএনএম সাজিজুর রহমান বলেন, ‘ডাকাত পাহারায় থাকা পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বে অবহেলা করায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকৃত পুলিশ কনস্টেবল বিজয় কুমার ও ইফতেখারুল হককে সাময়িকভাবে প্রত্যাহার এবং হবিগঞ্জ সদর সার্কেলের এএসপি সাজিদুল হক মুন্সীকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলো– ডিআইও ওয়ান কামরুল হোসেন ও ডিভির ওসি নন্দন কান্তি। পলাতক আসামিকে ধরতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।’
আটককৃত সন্দেহভাজন ডাকাতরা হলো- মাধবপুর উপজেলার বাখরনগর গ্রামের জমির আলীর ছেলে ফয়সাল মিয়া (৩২), মানিকপুর গ্রামের শাহ আলম মিয়ার ছেলে রুবেল আহমদ রনি (২৬), সুন্দরপুর গ্রামের আছদ্দর আলীর ছেলে জয়নাল মিয়া (৪২), একই গ্রামের দুবাই মিয়ার ছেলে জালাল মিয়া ওরফে স্প্রিং জালাল (৩২) ও চুনারুঘাট উপজেলার উলুকান্দি গ্রামের ইদ্রিছ আলীর ছেলে রুহুল আমিন (২৪)।
প্রসঙ্গত, গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ডাকাতের হামলায় ব্যবসায়ী মহসিন মিয়া নিহত হন। এ ঘটনায় ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে শায়েস্তাগঞ্জ থানার এসআই তাজুল বাদী হয়ে একটি মামলায় দায়ের করেন।
নিউজ রুমঃ News.dainikparibarton@gmail.com অথবা News@dainikparibarton.com
মোবাইল: +8809696195106 অথবা +8801715-395106
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com