স্বপন রবি দাশ,জেলা প্রতিনিধি হবিগঞ্জ:
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সর্বত্র উৎসব আমেজে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা। দেশের অন্যান্য জেলার ন্যায় হবিগঞ্জ জেলায় ৪টি আসনের বিপরীতে স্বতন্ত্র সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৪০ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। হবিগঞ্জ জেলার চারটি নির্বাচনী আসনে রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টির পাশাপাশি নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে বিএনএম, তৃণমূল বিএনপি, জাকের পার্টি, তরিকত ফেডারেশন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।
এদিকে,আসন্ন এই নির্বাচনী বিষয়ে হবিগঞ্জে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত ৩ স্বতন্ত্র প্রার্থী।
হবিগঞ্জ-৩ (সদর-লাখাই-শায়েস্তাগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত কোনো হেভিওয়েট প্রার্থী নেই। বাকি তিনটিতে স্বতন্ত্র ৩ প্রার্থী নির্বাচনী আলোচনায় রয়েছেন। এর মধ্যে আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী হাটে-ঘাটে, কৃষক- শ্রমিক সহ সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের সাথে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিভিন্ন উন্ময়ন মূলক কর্মকান্ড ও সামাজিক ভাবে জড়িত থেকে নবীগঞ্জ- বাহুবলের মানুষের সাথে একটি ভালবাসার সম্পর্ক সৃষ্টি করেছেন। যার ফলোস্রতিতে জনতার সাথে কাজ করতে গিয়ে এলাকার সিংসাত্বক হামলার সম্মূখিন হয়েছেন বহুবার। ততাপি তিনি মানব সেবায় চসিয়ে বেড়াচ্ছেন নবীগঞ্জ বাহুবলের মানুষের কাজে। তার নির্ভীকতার কাছে হার মেনেছে- উন্নয়ন কাজে বাঁধা দানকারী হিংসুক নেতারা। তার জীবনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আজ নির্বাচনী মাঠে নবীগঞ্জ- বাহুবলের জনস্রোত ভোটের মাঠে তাকে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসাবে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।
হবিগঞ্জ-১(নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য দেওয়ান ফরিদ গাজীর পুত্র শাহনওয়াজ মোহাম্মদ মিলাদ গাজীকে বাদ দিয়ে জেলা পরিষদের সদ্য পদত্যাগীকারী চেয়ারম্যান প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরীকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। সাবেক সংরক্ষিত সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় আওয়ামীলীগের প্রার্থীর সামনে কঠিন এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িছেন অ্যাডভোকেট কেয়া চৌধুরী। আওয়ামীলীগের বর্তমান সংসদ সদস্য গাজী মো: শাহনওয়াজ মিলাদ গাজী যখন এমপি ছিলেন, তখনও কেয়া চৌধুরী হিন্দু- মুসলিম মানুষের পাশে থেকে কাজ করে সুনাম অর্জন করেছেন। আওয়ামীলীগের বর্তমান সংসদ সদস্য গাজী মো: শাহনওয়াজ মিলাদ গাজীর ভাই দেওয়ান মোহাম্মদ শাহেদ গাজী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান এমপি টানা তিনবার নৌকা প্রতীক নিয়ে হবিগঞ্জ-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। হাওরের দুই উপজেলা বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জ মিলে এই নির্বাচনী আসনে এবার মনোনয়ন পাননি বর্তমান এই সংসদ সদস্য। তার জায়গায় দেওয়া হয়েছে তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ময়েজ উদ্দিন শরীফকে। যে কারণে সমর্থক ও ভোটারদের আগ্রহের কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মজিদ খান এমপি। প্রার্থীতা ঘোষণার পর তাকে ঘীরেই চলছে আলোচনা ও পর্যালোচনা।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জনপ্রিয় ব্যক্তি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
তবে তাকে মনোনয়ন না দিয়ে এই আসনের জন্য বর্তমান সংসদ সদস্য প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীকেই পুনরায় বেছে নিয়েছে আওয়ামীলীগ। দলের মনোনয়ন না পেয়ে অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সাইদুল হক সুমন স্বতন্ত্র হিসেবে নিজেকে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে শুধু হবিগঞ্জ নয় বরং পুরো দেশেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন ব্যারিস্টার সুমন ও অ্যাডভোকেট কেয়া চৌধুরী।
নিউজ রুমঃ News.dainikparibarton@gmail.com অথবা News@dainikparibarton.com
মোবাইল: +8809696195106 অথবা +8801715-395106
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com