(জামান মৃধা, নীলফামারী প্রতিনিধি)
নীলফামারীতে আবারও বিপদসীমা অতিক্রম করেছে তিস্তা নদীর পানি। অতিবৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে বুধবার সকাল ১২ টা থেকে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৬৩.৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ডিমলা উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার পরিবারের বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়া লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা, নীলফামারীর জলঢাকা, রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যা কবলিত হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১১ টা থেকে ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করলে রাত ২ টায় তা বিপদসীমা অতিক্রম করে। রাত ৪ টায় আরও পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ সূত্র জানায়, অতিবৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে গত মঙ্গলবার রাত থেকে ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। রাত ১০.৩০ টার দিকে সেখানে বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। রাত ১১ টায় বিপদসীমা অতিক্রম করে ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় যা রাত ৩ টায় আরও ৬৩.৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার ডিমলা উপজেলার নদীবেষ্টিত পূর্বছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছচাপনী, পশ্চিম ছাতনাই, গয়াবাড়ীর একাংশে তিস্তার ভাটিতে জলঢাকার ৩টি ইউনিয়নসহ ১৫টি গ্রামের ১০ হাজার পরিবারের বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে।
ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, ছাতুনামা ভেন্ডাবাড়ী ও ফরেস্টের চরে ৫ শতাধিক পরিবারের বসতবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। কোথাও কোথাও হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে এসব পরিবারের বসতভিটা। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন, দক্ষিণখরিবাড়ি (মসজিদ পাড়া) ও উত্তর চরের ৪ শতাধিক পরিবারের বসতবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। অনেকের বাসাবাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। দক্ষিণ খড়িবাড়ী (মসজিদপাড়া) গ্রামের নদী রক্ষা বাধ ভেঙ্গে প্রায় ২ শতাধিক পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়ে এবং সেখানে অনেক মাছের খামার রয়েছে সেগুলো বন্যার পানিতে প্লাবিত।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশফা-উদ্দৌলা বলেন, অতিবৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে মঙ্গলবার সকাল ১১.৫ টায় নদীর পানি বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের সবকটি গেট খুলে রাখা হয়েছে।
নিউজ রুমঃ [email protected] অথবা [email protected]
মোবাইল: +8809696195106 অথবা +8801715-395106
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com