মো: রবি উদ্দিন
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি

আজ ২৪/০৮/২৪ ইং রোজ শনিবার সকাল থেকে রাজনগর উপজেলার রাজনগর সরকারি কলেজ আশ্রয় কেন্দ্র, রাজনগর উপজলার নেহেরুনন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,রাজনগর মডেল মসজিদ,সহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোর মধ্যে খাবারের পেকেট ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করেন,দলীয় নেতা কর্মীরা।

শ্রীমঙ্গল কৃষক দলের সভাপতি সৈয়দ মোস্তাক আহমেদ বলেন,কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ও পানি বন্ধি মানুষের মাঝে খাবার ও পানি পৌঁছে দেই। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা শ্রমিক দল সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃআমজাদ আলী, সহ সভাপতি আজাদ মিয়া, সাধারণ ভারপাপ্ত সম্পাদক কামাল হোসেন, সহ-সম্পাদক আলী হুসেন, পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনির, সাধারণ সম্পাদক ফারুক মিয়া, যুগ্ম সাধারণ আব্দুল মন্নান, সহ সাংগঠনিক মোঃমাসুক (মির্জা) ও সদস্যরা দুর্গত এলাকায় বিপাকে পড়া ২০০-২৫০জন মানুষের হাতে খাদ্যসামগ্রীসহ প্রয়োজনীয় নানা উপকরণ তুলে দেন। আগামী রবিবার ও সোমবার আরও ৫০০-৬০০ পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রি বিতরণ করা হবে।

গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও মনু নদীর বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ ভেঙ্গে মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় বন্যা দেখা দিলে পানিবন্দী হয়ে পড়ে লক্ষাধিক পরিবার। ভয়াবহ এমন পরিস্থিতিতে খাদ্য সংকটে ও নানা সমস্যায় দিন কাটাচ্ছেন নিম্নআয়ের পরিবারগুলো। তলিয়ে গেছে রাস্তা- ঘাট, বাসা-বাড়ি ও রান্না-ঘর। মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর, কুলাউড়া ও জুড়ি,বড়লেখা, মৌলভীবাজার সদরসহ অনেক এলাকায় খাদ্য সংকট। এ অবস্থায় বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে শ্রীমঙ্গল উপজেলার কৃষক দল, শ্রমিক দল, পৌর শ্রমিক দলের নেতা কর্মীরা।

মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক জানান আজ শনিবার সকাল থেকে পানি কমতে শুরু করছে।
১) মনু নদী (রেলওয়ে ব্রীজ) এর পানি বিপদসীমার ১০০ সে.মি, নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
২) মনু নদী (চাঁদনীঘাট) এর পানি বিপদসীমার ৯১ সে.মি, উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
৩) ধলাই নদী (রেলওয়ে ব্রীজ) এর পানি বিপদসীমার ২০২ সে.মি, নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
৪) কুশিয়ারা নদী (শেরপুর) এর পানি বিপদসীমার ৯ সে,মি, উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
৫) জুড়ী নদী (ভবানীপুর,জুড়ী) এর পানি বিপদসীমার ১৮৬ সে.মি, উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষক দল,শ্রমিক দল, পৌর শ্রমিক বলেন-প্রয়োজনীয় এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র গুলো দেখে আসছি ।প্রয়োজনে আমাদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত থাকবে। তাছাড়া পরিস্থিতি বুঝে আমরা সবাই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের খাদ্য ব্যাবস্থা করবো।