মোঃ শিহাব উদ্দিন গোপালগঞ্জ:
গোপালগঞ্জ শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছে । রাতে কুয়াশা ঝড়ছে । ধীরে ধীরে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। এরই সঙ্গে ব্যস্ততা বেড়েছে গোপালগঞ্জ শহরের লেপ তোষক তৈরির কারিগর ব্যবসায়ীদের। কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে ভোরের সকাল। সন্ধ্যা নামলেই অনুভূত হচ্ছে শীত। পাতলা কাথায় মানছে না শীত। তাই হিমেল ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজন লেপের উষ্ণতার।
শীতের তীব্রতা বাড়ার আগেই মানুষ ভীড় জমাচ্ছে লেপ তোষক তৈরির বেডিং স্টোরগুলোতে। দিনে হালকা শীতল আবহাওয়া থাকলেও রাত থেকে সকালে সূর্য উঠার আগ পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে শীত। গোপালগঞ্জ শহরে প্রায় শতাধিক লেপ-তোষক তৈরির দোকানে রাত-দিন ব্যস্ত সময় পাড় করছেন । শীতের আগমনকে উপলক্ষ করে দোকানগুলোতে লেপ-তোষক বিক্রি বেড়েছে কয়েকগুণ। হিমেল ঠান্ডায় শরীরকে সতেজ রাখার জন্য বিশেষ করে শীতের সময় লেপের চাহিদা বেড়ে যায়। শীতের প্রচন্ড ঠান্ডায় হাড়কাপানো পরিস্থিতি রাতের নিদ্রায় একটু আরামের জন্য লেপের উষ্ণতা প্রশান্তি এনে দেয়। তাইতো বেড়েছে লেপ-তোষক তৈরি ব্যস্ততা। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ লেপ-তোশক ব্যবসায়ীদের আনাগোনাও বেড়েছে গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারসহ গ্রামাঞ্চলে। হিমেল শীতের পরশ থেকে উষ্ণতা পেতে কেউ পুরোনো লেপ-তোষক, বালিশ ঠিকঠাক করছে। আবার কেউ নতুন তৈরি করার অর্ডার দিচ্ছেন। অন্যদিকে অনেকে উঠিয়ে রাখা লেপ-তোষক বের করে রোদে শুকিয়ে ব্যবহারের উপযোগী করার চেষ্টা করছেন। বর্তমানে বাজারে শিমুল তুলা প্রতি কেজি ৪৬০ থেকে ৬২০ টাকা, কার্পাস তুলা প্রতি কেজি ৩১০ থেকে ৩৬০ টাকা, প্রতি কেজি কালো হুল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা, কালো রাবিশ তুলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, সাদা তুলা ১১০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা করে দামে বিক্রি হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় তুলার দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাপড়ের প্রতি গজে ১০ থেকে ১৫ টাকা দাম বেড়েছে।
প্রতিপিছ লেপ-তোষক তৈরিতে খরচ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বেড়েছে। মাঝারি ধরনের একটি লেপ বানাতে খরচ হচ্ছে ১২০০ থেকে দুই হাজার টাকা। তোষক বানাতে ১৫০০ থেকে আড়াই হাজার টাকা খরচ হয়। তবে বিভিন্ন রকমের দামী-কমদামী তুলার প্রকারভেদে লেপ-তোষকের দাম কম-বেশি হয়ে থাকে।
নিউজ রুমঃ News.dainikparibarton@gmail.com অথবা News@dainikparibarton.com
মোবাইল: +8809696195106 অথবা +8801715-395106
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com