মোঃ সিরাজুল ইসলাম
,রুপগঞ্জ(নারায়ণগঞ্জ)প্রতিনধিঃ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় গো খাদ্যের দেখা দিয়েছে তীব্র সংকট দাম ও তুলনা মূলক ভাবে অনেক বেশি। ইরি-বোরো মৌসুমে ধান কাটার সময় অধিক বৃষ্টিপাতে খড় ঠিকমত শুকানো ও সংরক্ষণ করতে না পারায় বেশির ভাগই পচে নষ্ট হয়েছে। সেই সঙ্গে ধান কাটার শ্রমিকরা ক্ষেত হতে জমিতে বেশির ভাগ খড় রেখে শুধু মাত্র শীষের সঙ্গে অল্প পরিমানে খড় কেটে আনায় রুপগঞ্জ উপজেলায় তীব্র খড়ের সংকট দেখা দিয়েছে। বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছে খামারী ও গবাদী পশুর মালিকরা। জানা গেছে এবার এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পর পর কয়েক দফা বৃষ্টিপাতে জমির আইল এর উপর পানি ওঠায় এক দিকে যেমন ঘাস পচে গেছে অন্য দিকে স্তুপ করে রাখা খড়ের গাদা ও নষ্ট হয়ে গেছে। এতে দেখা দিয়েছে গরুর খাদ্য সংকট। আর তাই খামারী ও গবাদী পশুর মালিকরা গৃহপালিত প্রাণীর খাদ্যের যোগান দিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
কথা হয় উপজেলার নগর পাড়া এলাকার খামারী আবুল হোসেন,শাকিল আহমেদ আলাউদ্দিনের সঙ্গে। তারা বলেন, এবার বোরো ধান কাটার পর হতে খড়ের সংকট দেখা দিয়েছে, আগে তুলনায় দাম ও বেশি। তার পরেও মিলছে না গো-খাদ্য, বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে বেশি দামে খড় কিনে গরুকে খাওয়ানো হচ্ছে। পূর্বের কেনা খড় শেষ। তাই এ খড়ের হাটে এসে ছোট এক বোঝা খড় ১ হাজার ১ শত টাকা দিয়ে কিনেছি। যা অতীতে এতো দাম দিয়ে কেনা হয়নি। কথা হয় হারিন্দা এলাকার খড় ব্যবসায়ী হারেজ মিয়ার সাথে, খড়ের সংকটের কারণে শেরপুর,জামালপুর ময়মনসিংহ সহ বিভিন্ন জেলা - উপজেলার গ্রামে গ্রামে ঘুরে খড়ের আটি কিনে এনে রুপগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আটি হিসাবে বিক্রি করেন তারা।
খড় ক্রয়, পরিবহন ও অন্যান্য খরচ বাদ দিয়ে এতে তাদের দৈনিক ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা মত লাভ হয়।###
নিউজ রুমঃ [email protected] অথবা [email protected]
মোবাইল: +8809696195106 অথবা +8801715-395106
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com