রাজশাহীর কথিত মক্ষীরানি আয়েশা লিজা আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সম্প্রীতি তার প্রতারণার ফসল হাত ছাড়া হওয়ায় এখন সে আরো বেপরোয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
কথিত ওই মক্ষীরানি সম্প্রীতি রাজশাহীর একজন সংসদ সদস্যের সুনাম নষ্ট করতে অপপ্রচার চালাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
জানা যায়,আয়েশা আক্তার লিজা রাজশাহী নগরীর তেরখাদিয়া এলাকার চাঁদ মিয়ার মেয়ে।
মক্ষীরানি লিজা নিজের কু-কর্ম ঢাকতে রাজশাহীর একজন এমপির সাথে বিয়ের নাটক করে আসছে বেশ কিছু সময় ধরে। অবশেষে এমপিকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করতেও বাধ্য করে ঐ নারী।
আয়েশা আক্তার লিজা নামের ওই নারীর মূল কাজ হচ্ছে সমাজের নামি দামী লোকজনের সাথে বিভিন্ন কৌশলে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলা। সেই সম্পর্কের জেরধরে তাদের সাথে বিভিন্ন ভাবে ছবি উঠানো। এরপর তাদের ফাঁসাতে সেই ছবিগুলো ব্যবহার করা হয়। এভাবে সে রাতারাতি কোটিপতিও বুনে গেছেন।
যেকোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো আয়েশা আক্তার লিজার কোন ব্যাপারই না।
বন্ধুত্বের সম্পর্কের ফলে উঠানো ওই ছবি হয়ে উঠে তার অর্থ উপার্জনের মূল হাতিয়ার। বিভিন্ন ভাবে উঠানো ছবি দিয়ে শুরু হয় সমাজের নামিদামী মানুষগুলোকে বোকা বানিয়ে অর্থ উপার্জনের কাজ। তারপর "হয় টাকা না হয় বিয়ে এমন কৌশল অবলম্বন করে আসছে বহু দিন ধরে। লোকলজ্জার ভয়ে অনেকে গোপনে অর্থ দিয়ে তার সাথে ছবি উঠানোর বিষয়টা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। সেই সাথে বিয়ে তো আছে।
এভাবে সে বিভিন্ন জনকে প্রতারণার জালে ফাঁসাতেই এক পর্যায়ে অভিযোগ তোলে যে, তার ওরসজাত সন্তান লিজার পেটে। তখন আরো বেকায়দায় পড়ে যায় লোকজন। এ পরিস্থিতির স্বীকার ব্যক্তি না পারে সইতে আবার না পারে কইতে। আর নারী বলে কথা।
কিছুদিন আগে সে একজন এমপিকে ব্যাকমেইল করে বেশকিছু ছবি উঠায় লিজা। সেই ছবি ব্যবহার করে তাকে বিয়ে করতে বাধ্য করায়। পরে সংসদ সদস্য নিজের ইজ্জত বাঁচাতে অবশেষে লিজাকে ইসলামী সরিয়া মোতাবেক বিয়েও করেন। তবে সেই বিয়ে বেশিদিন স্থায়ীত্ব লাভ করেনি। কারণ লিজার বেপরোয়া আচরণে বাধ্য হয়ে দেশের আইন অনুযায়ী লিজাকে তালাক (ডিভোর্স) দিয়েছেন সংসদ সদস্য । শেষমেষ প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করে আয়েশা আক্তার লিজা নামের ঐ নারী।
গত কয়েকদিন থেকে প্রতারণার এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ফেসবুকে বিভিন্ন স্ট্যাটাসও দিচ্ছে। তবে সংসদ সদস্যের দাবি, তিনি লিজার ও ব্যাকমেইলের শিকার হয়ে বিয়ে করেছেন।
এদিকে ২০১৮ সালের ১১ মে লিজার সাথে বিয়ে রেজিস্ট্রি হয় এমপির । লিজা ওই এমপির বিরুদ্ধে বিয়ের নামে তার সঙ্গে প্রতারণার মিথ্যা অভিযোগ তুলে ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
লিজার অভিযুক্ত এমপি এই প্রতিবেদক কে জানান, আমি বিয়ে করেছিলাম এবং বাংলাদেশের আইনে তাকে ডিভোর্স দিয়েছি। দেনমোহর পরিশোধ করেছি। আমার রাজনৈতিক ও সামাজিক সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখতেই আমি তাকে ডিভোর্স দিতে বাধ্য হয়েছি । এরপরও যদি তার কোন বক্তব্য থাকে তাহলে সে আইনী আশ্রয় নিতে পারে।
রাজশাহীর এমপি এনামুল হক আরো অভিযোগ করে বলেন, আমার ছবি ফেসবুকে দিয়ে ব্যয়কমেইল করেছে। চাঁদাবাজি করে রাজশাহীতে ৫ তলা বাড়ি করেছে। চরিত্রহীন একটা মেয়ে লিজা যা আমার আগে জানা ছিলনা। এছাড়াও সে অনেক চাঁদাবাজি করেছে। ব্যাকমেইল করেই বিয়ে করেছে।
অপর দিকে ২০১৫ সালে লিজার ভ্রুণ হত্যার বিষয়ে সাংসদের বিরুদ্ধে ফেইসবুকে যে স্ট্যাটাস দিয়েছে এ বিষয়ে সাংসদ বলেন, আমার সাথে তার ‘বিয়ে হয়ছে ২০১৮ সালে। ২০১৫ সালে কোথায় থেকে বাচ্চা এলো? কার বাচ্চা কোথায় থেকে এনে হত্যা করেছে, তার দায় আমার ঘাড়ে চাপাবে কেন? আর যদি এমন কোন অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে থাকে তাহলে সে আইনি আশ্রয় নিতে পারে।
নিউজ রুমঃ [email protected] অথবা [email protected]
মোবাইল: +8809696195106 অথবা +8801715-395106
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com