মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৭ অপরাহ্ন
তাপস কর,ঈশ্বরগঞ্জ(ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি।
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বৃষ্টি ও নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রোপা আমন ধানের বীজতলা, ভুট্টা ক্ষেত, পানের বরজ, কাঁচা মরিচ, শাক-সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
জানা যায়, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার চরআলগী, পাঁচবাগ, দত্তেরবাজার, টাঙ্গাব ইউনিয়নের তীরবর্তী এলাকা এবং উপজেলার অভ্যন্তরীণ শিলা ও সুতিয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দুই তীরের কৃষিজমি প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
কৃষি অফিসের তথ্যমতে, উপজেলায় ১৬ হেক্টর রোপা আমন ধানের বীজতলা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে। এছাড়াও ২১ হেক্টর জমির শাক-সবজির ক্ষতি হয়েছে। তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুধু টাঙ্গাব ইউনিয়নের বাশিয়া, বামনখালী ও টাঙ্গাব গ্রামে ব্রহ্মপুত্র চরের দুই শতাধিক প্রান্তিক চাষির ভুট্টাক্ষেত, ৩-৪টি পানের বরজ, শষা, বেগুন, চিচিঙ্গা, ঝিঙা, চাল কুমড়া ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
টাঙ্গাব গ্রামের কৃষক সাইফুল ফকির বলেন, আমি ৮ কাঠা (৮০ শতাংশ) জমিতে ভুট্টা চাষ করছি। ভালো ফলন হইছে। কিন্তু পানি আমার সর্বনাশ কইরা দিছে। অহন নৌকায় ক্ষেতে গিয়া ডুবসাঁতার পাইরা কাঁচা-পাকা, আধা পাকা ভুট্টা তুইল্যা আনতাছি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন সাগর বলেন, ব্রহ্মপুত্র তীরের কৃষিজমিগুলো প্লাবিত হয়ে বহু কৃষকের ভুট্টা ও শাক-সবজির ক্ষতি হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষি পরিবারগুলোর মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন বলেন, আমাদের মাঠকর্মীদের মাধ্যমে নিয়মিত প্রতিবেদন তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হচ্ছে। বন্যা দীর্ঘায়িত হলে ক্ষতির পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। এ অবস্থায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার আলোকে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।