অনলাইন ডেস্কঃ
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পগুলোর একটি বিমান পরিচালনা খাত। করোনা মহামারির কারণে এরই মধ্যেই বাতিল হয়েছে অসংখ্য ফ্লাইট। অচল হয়ে পড়েছে শত শত বিমান। যাত্রীচাহিদা কমে যাওয়ায় বড় লোকসানের মুখে রয়েছে বিমান পরিচালনা প্রতিষ্ঠানগুলো। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি
করোনাভাইরাস সংকটের কারণে আগামী মে মাসের শেষ নাগাদ দেউলিয়া হয়ে যাবে বিশ্বের বেশিরভাগ এয়ারলাইন। সম্প্রতি এ আশঙ্কার কথা জানিয়েছে বিমান পরিচালনা বিষয়ক পরামর্শক সংস্থা 'সেন্টার ফর এশিয়া প্যাসিফিক অ্যাভিয়েশন' (সিএপিএ)। সোমবার তারা জানায়, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রভাব এবং অনেক দেশের সরকার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করায় হয়তো অনেক এয়ারলাইনই দেউলিয়াত্বের শিকার হয়েছে, অথবা অন্তত ঋণচুক্তি লঙ্ঘন করেছে।
সিএপিএ জানায়, বিমান না চলায় অর্থের মজুত দ্রম্নত শেষ হয়ে আসছে। যেগুলো চলছে তাতেও অর্ধেক আসন খালি থেকে যাচ্ছে। বিভিন্ন দেশের সরকার নতুন নতুন বিমান পরিচালনায় অনুৎসাহিত করায় বুকিংয়ের চেয়ে টিকিট বাতিলের হার বাড়ছে।
পরামর্শক সংস্থাটির মতে, সাম্প্রতিক সময়ে যেভাবে বিমানের যাত্রীচাহিদা কমছে, তা আগে কখনো হয়নি। এভাবে চলতে থাকলে চলতি বছরের মে মাসের শেষ নাগাদ বিশ্বের বেশিরভাগ এয়ারলাইনই দেউলিয়া হয়ে যাবে।
সিএপিএ বলছে, ভয়াবহ এ বিপর্যয় ঠেকাতে এই মুহূর্তে সব সরকার ও শিল্প সংশ্লিষ্টদের সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। এর কোনো বিকল্প নেই। কাঠামোহীন ও জাতীয়তাবাদী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এ বিপর্যয়ে কেউই টিকতে পারবে না।
করোনা সংক্রমণের পর থেকেই আকাশপথে যাত্রীচাহিদা কমে গেছে আশঙ্কাজনক হারে। গত রোববার আটলান্টাভিত্তিক 'ডেল্টা এয়ারলাইন্স' জানিয়েছে, তারা অন্তত ৩০০টি বিমান বসিয়ে রাখছে, ফ্লাইট কমিয়ে দিচ্ছে প্রায় ৪০ শতাংশ।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একইভাবে ভারতও ১১ মার্চের আগে অনুমোদন দেয়া সব ধরনের পর্যটক ভিসা এবং ই-ভিসা বাতিল করে দিয়েছে। দেশটির বৃহত্তম বিমান পরিচালনা সংস্থা 'ইন্ডিগো' জানিয়েছে, গত কয়েকদিনে তাদের যাত্রীচাহিদা কমে গেছে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। ফলে বছরের চলতি প্রান্তিকের আয়ে ধস নামার আশঙ্কা করছে তারা।
নিউজ রুমঃ [email protected] অথবা [email protected]
মোবাইল: +8809696195106 অথবা +8801715-395106
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com