সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৪ অপরাহ্ন
মোঃরাজিব খান, মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রচুর মুকুল ধরেছে আম গাছগুলোতে। ফুটেছে আমের মুকুল, ছড়াচ্ছে সুবাসিত ঘ্রাণ।
আম গাছগুলোতে এর মধ্যেই মুকুল আসতে শুরু করেছে। নানা ফুলের সঙ্গে সৌরভ ছড়াচ্ছে আমের মুকুলও। আমের মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণে মৌ মৌ করছে প্রকৃতি। আমের মুকুলে তাই এখন মৌমাছির গুঞ্জন। এবার সময়ের আগেই সোনালি মুকুলে ভরে গেছে আম বাগানগুলো। তাই দখিনা বাতাসে দোল খাচ্ছে চাষির স্বপ্ন।
গাছে গাছে ঝুলছে আমের মুকুল। পৌষের আমন্ত্রণে আসা আগাম মুকুল মাঘকে বিদায় জানিয়ে এসেছে ফাল্গুন। বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের মনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। বিভিন্ন এলাকার কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা গেছে, গাছে গাছে নানা ফুলের সঙ্গে আমের মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ আকাশে বাতাসে মৌ মৌ গন্ধে মাতোয়ারা করে তুলছে। থোকায় থোকায় হলুদ রঙের মুকুলে গাছগুলো ভরে গেছে। বাগানের মালিকেরা আমের ভালো ফলন পেতে ছত্রাক নাশক প্রয়োগসহ বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ততার সময় পার করছেন। আম চাষিরা খুশি হলেও কৃষি কর্মকর্তারা বলেন। এ থানাতে প্রধান প্রধান আমের আবাদ হচ্ছে ফজলি, লেংড়া।
আম চাষি জানান, এ বছর আমার আম গাছে প্রচুর পরিমাণে মুকুল দেখা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত আমের মুকুলে কোনো রোগ-বালাই আক্রমণ করেনি। মুকুল ভালোভাবে প্রস্ফুটিত হয়েছে। যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না আসে আশা করছি প্রতিটি আমগাছেই পর্যাপ্ত পরিমাণে আম ধরবে।
এ বিষয় কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আরাফাত হোসেন জানান, এ বছর প্রচুর পরিমানে আম গাছে মুকুল দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া ঠিক থাকলে এ বছরে আমের বাম্পার ফলন হবে।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।