শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৭ অপরাহ্ন
মোঃ রাসেল হোসেন, ভোলা:
জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রোপনকৃত আমন ধানের চারা ক্ষেত থেকে তুলে ফেলে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
এতেই ক্ষান্ত হয়নি ধানের চারা গুলোকে কেটে কুচি কুচি করে ফেলেছে।
এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে ভোলা সদরের আলিনগর ইউনিয়নে মৌটুসী গ্রামে। । খবর পেয়ে সরেজমিন ঘুরে দুর্বৃত্তদের এমন নজিরবিহীন ও ন্যক্কারজনক ঘটনার চিত্র বিশ শতাংশ জমিতে দেখা যায়। জানা গেছে মৌটুসী গ্রামের হাওলাদার বাড়ির ইব্রাহিম জমিটির ক্রয় সূত্রে মালিক। জমির মালিক মোঃ ইব্রাহিম সরকারি পাওয়ার প্লান্টে চাকরি করেন , তিনি স্থানীয় কামলা দিয়ে তার ক্রয়িকৃত জমিতে আমন ধানের চারা লাগান।
তিনি একই এলাকার বিশ্বাস বাড়ির ওয়ারিশদের কাছ থেকে জমি ক্রয় করেন, একই বাড়ির অন্য কয়েক জন ওয়ারিশ অবৈধভাবে মালিকানা দাবি করে
১। মোঃ মইদ বিশ্বাস (৩৫), পিতা-আবু জাফর বিশ্বাস, ২। জিহাদ ওরফে ইব্রাহিম বিশ্বাস (৬৫), পিতা-ফকরুল ইসলাম বিশ্বাস, ও। হাসান বিশ্বাস (৩০), পিতা-ফখরুল ইসলাম বিশ্বাস, ৪। আবু জাফর বিশ্বাস (৬৫), পিতা-খোরশেদ ওরফে ছেলামক বিশ্বাস,
সর্ব সাং-মৌটুপী, ৭নং ওয়ার্ড, আলীনগর ইউপি, থানা ও জেলা-ভোলা। ঘটনার দিন ভোর ৬টার সময় এরা সকলে দলেবলে এসে ইব্রাহিমের দখলকৃত জমির আমন ধান তুলে কেটে কুচি কুচি করে ফেলেছে। এই নিয়ে মোঃ ইব্রাহিম জানান- ‘আমি শেষ হয়ে গেছি। আমার পুঁজি শেষ করে ফেলেছে! ধারদেনা করে জমিতে ধান রোপণ করেছি, এখন আমি কি করব!’ স্থানীয় স্থানীয় লোক আব্দুর রাজ্জাক বলেন -‘এরকম ন্যক্কারজনক ঘটনা জীবনেও দেখিনি।
ছি:ছি :ছি: যারা এ ধরনের কান্ড ঘটিয়েছে তারা কি ভাত মাছ খায় না? এই ধরনের অপকর্মের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক এটাই চাই।’ইব্রাহিমের ছেলে সালমান জানান – আমাদের সামনে বিশ্বাস বাড়ির লোকজন দলে বলে এসে ,আমাদের সামনে ধানের চারা কেটে কুচি কুচি করে ফেলেছে। এদের হাতে দেশীয় অস্ত্র দা, বটি ,লাঠি সোটা থাকায় আমরা ভয় কাছে যাইনি দূর থেকে দেখেছি। সন্ত্রাসীরা ২৬/ ৯/০২৪ অনুমান সকাল ৬টার সময় ক্ষেত থেকে ধানের চারা তুলে কুচি কুচি করে কেটে ফেলেছে। আমার মা দূর থেকে এদেরকে ধান কাটতে মানা করলেও এরা আমার মায়ের কথা শুনে নি। ঘটনার সময় আমার বাবা মোহাম্মদ ইব্রাহিম সরকারি দায়িত্বরত অবস্থায় বোরহানউদ্দিন ছিলেন। সন্ত্রাসীদের কয়েক জনের নাম উল্লেখ করে ভোলা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীগণ ঐ । ইব্রাহিমের ছেলে মোঃ সালমান উক্ত মামলার বাদী হয়েছেন। এই নিয়ে ভোলা থানার তদন্ত কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম
এ প্রতিবেদককে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন-উক্ত ঘটনা সত্য আমরা সরেজমিনে যেয়ে তদন্ত করে আসছি‘ শীঘ্রই আরো তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।