সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৫২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা সদরের বড় খামার গ্রামে ভাতের সঙ্গে চেতনানাশক স্প্রে মিশিয়ে দেওয়ার ঘটনায় একই পরিবারের দুগ্ধপোষ্য ২ শিশুসহ ৬ জন অচেতন হয়ে পড়েছেন।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর ২০২৫) দুপুরে এই ঘটনা ঘটায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। দেখার জন্য কেউ নেই, সাতক্ষীরার সুযোগ্য পুলিশ সুপার বিষয়টি দেখবেন কি?
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বড় খামার গ্রামের মেহের আলী (৬৫), তার স্ত্রী মোমেনা খাতুন (৫০) ও দুই পুত্র আব্দুর রউফ (৪০) এবং জিয়ারুল (২৬), জান্নাতুল (৪), মিনারা (২) দুপুরে খাওয়া দাওয়ার কিছুক্ষণ পর অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পরবর্তীতে ছয়জনই অজ্ঞান হয়ে গেলে প্রতিবেশীরা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক আব্দুল খালেক পরামর্শে বাড়িতেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। বর্তমানে তারা ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
প্রতিবেশী নোয়াব আলী বলেন, “খাওয়ার কিছু পরই সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমরা গিয়ে দেখি সবাই অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। পরে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।”
কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে বি.ডি.এফ প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ শাহাদাৎ হোসেন বাবু,”ব্রহ্মরাজুপুর ইউনিয়নের বড়খামার গ্রামের ঘটে যাওয়া খাবারে চেতনানাশক মিশানোর ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। আমরা প্রশাসনকে দ্রুত তদন্ত চালিয়ে দায়ীদের শাস্তি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে, স্থানীয় জনগণকে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানাই
তিনি আরও বলেন, ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে এসআই মনিরুজ্জামান যোগদানের পর হইতে,পুলিশের পর্যাপ্ত টহল না থাকার কারণে চুরি হচ্ছে, মাদক সন্ত্রাস ও অন্যান্য অপরাধ বেড়ে গেছে। সাধারণ মানুষ ঝুঁকির মুখে রয়েছেন। আমরা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই, দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক এবং মাদক সন্ত্রাস রোধ করা হোক।” এ ব্যাপারে বি, ডি, এফ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মোঃ আরশাদ আলী জানান, এলাকায় ব্যাপক হরে মাদকের রমরমা ব্যবসা ও অনলাইন জুয়া চলছে, মাদক ও জুয়ার টাকা যোগাড় করতে এলাকায় প্রতিনিয়ত চুরি হচ্ছে, প্রশাসনের উদ্বোধন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও অনলাইন জোড়িদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনলে কিছুটা হলেও এলাকায় চুরি কমবে।
ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই মনিরুজ্জামানকে গণমাধ্যম কর্মীরা একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামিনুল হক জানিয়েছেন, “এ বিষয়ে এখনো আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।”এলাকার সচেতন মহল সাতক্ষীরার সুযোগ্য পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।