শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন
বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর বাঘায় পুকুরের পাশের বাড়ীর গরুর খামার ও টয়লেটের দুষিত বর্জ্য পদার্থের ফলে পাঁচ লাখ টাকার মাছ মরে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহষ্প্রতিবার (২৪ জুলাই) দিবাগত রাতে উপজেলার ছাতারী এলাকায় সাত বিঘা পূকুরের জমির মাছের প্রজেক্টে দুষিত বর্জ্য দেওয়া হয়।
এতে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে যাওয়ায় ভুক্তভোগী মৎস চাষি আব্দুল আওয়াল এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। গত দুই মাস ধরে লালনপালন করে আসা পুকুর ভরা মাছে এ সময়ই বিক্রির মৌসুম। কিন্তু এমন সময় এই দুঃসংবাদ পেয়ে মুষড়ে পড়েন আব্দুল আওয়াল ।
চোখেমুখে হতাশা নিয়ে আব্দুল আওয়াল বলেন, সকালে পুকুরে এসে দেখি মাছ মরে ভেসে আছে।এ সময় পুকুরের পশ্চিম পাড়ের মকবুল হোসেনের গরুর খামার ও টয়লেটের বর্জ্য পাইপ দিয়ে মল নামছে দেখি। রাতের আঁধারে বন্ধ করা এই পাইপ খুলে দিয়ে আমার পুকুরের পাঁচ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলেছে। আমি মকবুল হোসনকে পাইপ খুলে বর্জ্য ও মল পুকুরে দেওয়ার কথা জিজ্ঞাসা করলে আমাকেই হুমকি প্রদান করে বলে তোকে এখানে মাছ চাষ করতে কে বলেছে।
পূর্ব কোনো শত্রুতা বা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে এ ঘটানো ঘটায়। এমন জঘন্য কাজের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন ভুক্তভোগী মৎস্য খামারি আব্দুল আওয়াল। তিনি আরও বলেন,এর আগে কয়েকবার আমি ও পুকুর মালিকসহ এই পাইপ বন্ধ করার কথা বললে আমার কথায় কোন কর্নপাত না করলে নিজে বন্ধ করি। এই করা বন্ধ পাইপ খুলে দিয়ে আমাকে নিঃস্ব করে দিলো। আমি এর কঠিন শাস্তি চাই।
ব্যবসায়ী পাটনার মানিক বলেন, অর্থনৈতিকভাবে আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত করতেই পুকুরে মাছ নিধন করেছে চক্রান্তকারীরা। পুলিশ প্রশাসন যেন বিষয়টি তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিকে শাস্তির আওতায় নেয়, এ জন্য আমরা ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ করেছি।
প্রতিবেশি ও স্থানীয়রা বলেন, আব্দুল আওয়াল মাছ চাষ করেই জীবিকা নির্বাহ করেন। মাছভর্তি পুকুরে এভাবে বর্জ্য পাইপ দিয়ে নামিয়ে পুকুরে থাকা সব মাছ মারা গেছে। যারা এ কাজ করেছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, অতিরিক্ত দুর্গন্ধযুক্ত পচা বর্জ্য পুকুরের প্রবেশ করায় মাছ গুলো মারা গেছে। মাছচাষি আব্দুল আওয়ালের ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ ফ ম আসাদুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। এমন অপরাধের সঙ্গে যে বা যারা যুক্ত, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।