নাটোর প্রতিনিধি:
গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে কালিকাপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহজাহান মোল্লার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার যে অভিযোগ প্রকাশিত হয়েছে, তা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, সহকর্মী শিক্ষকবৃন্দ ও স্থানীয় সচেতন মহল।
প্রথমত, সংবাদে উল্লেখিত কালিকাপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুর লিজ সংক্রান্ত বিষয়টি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে সম্পাদিত হয়েছে এবং এতে কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থ বা গোপনীয়তা ছিল না। বিদ্যালয়ের আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। লিজপ্রাপ্ত ব্যক্তি যেই হোক না কেন, তা প্রক্রিয়াগতভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, পুরাতন ভবনের ইট-খোয়া ব্যবহারের বিষয়ে বলা হচ্ছে যে, সেগুলো ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহৃত হয়েছে— এটি সম্পূর্ণ অসত্য। ব্যবহৃত মালামাল বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজেই ব্যবহৃত হয়েছে, এবং তার যথাযথ হিসাব বিদ্যালয়ের নথিপত্রে সংরক্ষিত আছে।
তৃতীয়ত, বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে কমিটি নেই— এই অভিযোগটি তথ্যভিত্তিক নয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিধিমালা অনুসারেই এডহক কমিটি গঠিত হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনে তা কার্যকর রয়েছে।
চতুর্থত, অস্থায়ী কর্মচারী নিয়োগ ও তার বেতন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া— এটি বিভ্রান্তিকর। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে অস্থায়ীভাবে একজন আয়া নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, এবং পরবর্তীতে অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করেই বেতন বিদ্যালয়ের তহবিল থেকে পরিশোধের সিদ্ধান্ত হয়।
পঞ্চমত, কমনরুম না থাকা ও এক শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের বিষয়টি বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কারণে ঘটে থাকলেও, এর পেছনে প্রধান শিক্ষকের কোনো অবহেলা নেই। বরং শিক্ষক ও প্রশাসনের নিরলস চেষ্টাতেই বিদ্যালয়টি আজ স্থানীয়ভাবে অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত।
সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো, সংবাদে "ক্ষমতাশালী", "ভাইয়ের স্কুল", "কারও কিছু বলার সাহস নেই"— এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করে ব্যক্তিগত চরিত্রহনন ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। এসব মন্তব্য কারও ব্যক্তিগত ক্ষোভ বা প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ ছাড়া কিছুই নয়।
আমরা দৃঢ়ভাবে বলছি, এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই এবং এটি একটি সম্মানিত শিক্ষক, প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ও শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। আমরা সংবাদ কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাই, সংবাদটি যাচাই-বাছাই করে প্রত্যাহার করা হোক এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের মনগড়া ও অপপ্রচারমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই।
নিউজ রুমঃ News.dainikparibarton@gmail.com অথবা News@dainikparibarton.com
মোবাইল: +8809696195106 অথবা +8801715-395106
All rights reserved © 2020-2025 dainikparibarton.com