কংগ্রেস নিউজ
দেশের জনসংখ্যা ও গৃহগণনার জন্য ইউনিয়নগুলোকে ভিত্তি ধরার আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ কংগ্রেস। এক্ষেত্রে প্রতিটি ইউনিয়নে একজন পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছে দলটি।
গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব এ্যাডঃ মোঃ ইয়ারুল ইসলাম বলেন, বিদ্যমান জনসংখ্যা নির্ণয় পদ্ধতিতে ব্যাপক দুর্নীতি ও অপচয় হয়। তিনি বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে সব ধরনের পরিসংখ্যানকে ডিজিটালাইজ্ড করলে পুরো বিষয়টা আরো সহজ ও সাশ্রয়ী হবে এবং সময়ও কম লাগবে।
বিবৃতিতে এ্যাডঃ ইয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ড থাকে। প্রতিটি ওয়ার্ডের জনসংখ্যা আলাদাভাবে নির্ণয়ের মাধ্যমে এক সপ্তাহে একটি ইউনিয়নের জনসংখ্যা নির্ণয় সম্ভব। ইউনিয়ন ও পৌরসভাগুলোর সংখ্যার ভিত্তিতে উপজেলাসমুহের এবং উপজেলাগুলোর সংখ্যার ভিত্তিতে জেলাসমুহের জনসংখ্যা নির্ণয় করতে হবে। এক্ষেত্রে সফটওয়্যার ও এ্যাপস ব্যবহার করে দেশের প্রতিদিনের জনসংখ্যা নির্ণয় করা সম্ভব বলে মনে করেন এ্যাডঃ ইয়ারুল ইসলাম।
বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব বলেন, সারাবিশ্বে কয়জন করোনা আক্রান্ত সেটা প্রতি মুহূর্তে গুগল সার্চ দিয়ে জানা যাচ্ছে। একই পদ্ধতিতে বাংলাদেশের কোথায় কত লোকসংখ্যা সেটা জানার ব্যবস্থা থাকতে হবে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের বরাত দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, এবারকার জনশুমারী ও গৃহগণনায় ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৬১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা এবং সময় ধরা হয়েছে এক মাস। এ উদ্দেশ্যে প্রায় ৪ লাখ অস্থায়ী লোক নিয়োগ দেয়া ও সমান সংখ্যক ট্যাব কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কাজশেষে ট্যাবগুলো কী কাজে কারা ব্যবহার করবে তার কোন নির্দেশনা নেই।
জনশুমারী ও গৃহগণনার নামে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় না করে ইউনিয়ন পর্যায়ে স্থায়ী পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নিয়োগ দিলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় ব্যয় কমবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। উক্ত পরিসংখ্যান কর্মকর্তারা লোকসংখ্যা ও গৃহগণনা ছাড়াও ভোটার তালিকা প্রণয়ন, জন্মমৃত্যুর তথ্য, কৃষি শুমারী, কলকারখানা, ভুমি, জলাশয়সহ যাবতীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ করবেন যা রাষ্ট্রের সার্বিক ব্যয় কমাবে বলে মনে করে দলটি।
নিউজ রুমঃ [email protected] অথবা [email protected]
মোবাইল: +8809696195106 অথবা +8801715-395106
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com