রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৫ অপরাহ্ন
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি।
৫ আগস্ট সোমবার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ও গনআন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার শাসকের পতনের মাধ্যমে নতুনভাবে স্বাধীন হয় প্রিয় বাংলাদেশ। বিনিময়ে গুনতে হয় হাজারো ছাত্র জনতার তাজা প্রাণ। দেশের আলীঙ্গনে যে সমস্ত বীর ছাত্র ও সাধারণ জনতা শহীদ হয়েছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক আহতদের সুস্থতা ও শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করার আহ্বান জানান। এরই ধারাবাহিকতায় ফিংড়ী ইউনিয়নের বালিথা জামে মসজিদে জুম্মার নামাজের পরে আহতদের সুস্থতা ও শহীদদের রুহের মাগফিরাতে দোয়া করার সময় বালিথা ওয়ার্ড আ’লীগের সহ-সভাপতি দবির উদ্দীনের পুত্র আব্দুল মুজিদ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে তিনি আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের ‘জারজ সন্তান’ বলে আখ্যায়িত করেন। এ কথার সত্যতা যাচাইয়ে বালিথা জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন সোবাহান গাজীর পুত্র আবু সাঈদের কাছে জানতে চাইলে অসংখ্য মুসল্লি ও সাধারণ মানুষের সামনে মুজিদের বক্তব্যের সত্যতা স্বীকার করেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন বালিথা গ্রামের মোজাহার আলী, বাবুর আলী, মফিজুল সরদার, রাসেল (ছাত্র), ইউপি সদস্য আরশাদ আলী, আছের আলী, সেলিম হোসেন, পলাশ, আছাদুল ইসলাম, তোফাজ্জেল হোসেন প্রমুখ। স্থানীয়দের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী- ঐ আ’লীগ নেতার ইন্ধনে বালিথা গ্রামের প্রবাসী আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন (২৬) পাশ্ববর্তী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিরিষ গাছের পোকা বিক্রি করে। এসময় বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্ররা ও বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা বাঁধা দেয়। বাঁধা দেওয়ায় উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে ধস্তাধস্তি হয়।বিষয়টি নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ায় ২৬ জুলাই সোমবার বিকেলে বালিথা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এলাকাবাসী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।এসময় তারা উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এসময় স্থানীয় ইউপি সদস্য আরাশাদ আলী ঘটনাটি মিমাংসা করার চেষ্টা করেন।বিষয়টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য ফতেমা খাতুন (২৬)অন্যের কথা শুনে প্রতিপক্ষ আছের আলীর পুত্র রাসেল (২২) ও হোসেন আলী (২৫),মৃত আয়জুদ্দীনের পুত্র আছের আলী (৪৫),এশার আলীর পুত্র মিলন(১৯),আ: রাজ্জাকের পুত্র এনামুল( ২০),মোজাহার আলীর পুত্র আ: রাজ্জাক (৩৭) ও শওকত আলী মোল্লার পুত্র ফজলু (২০) কে আসামি করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। এঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে ভুক্তভোগীরা এবং এলাকাবাসী সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।