বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৪৮ পূর্বাহ্ন
এস,এম,শামীম (ফুলপুর)ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ-
অধ্য ২৩ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার ১১.৩০ ঘটিকার সময় ফুলপুর উপজেলার ৭ নং রহিমগঞ্জ ইউনিয়নের তিতপুর গ্রামে মেয়ে পক্ষর বাড়িতে এসে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ৪ নং অম্বিকাগঞ্জ ইউনিয়নের পরানগঞ্জ বাজার সংলগ্ন চর বউলা এলাকা থেকে ছেলে পক্ষ সজীবের নেতৃত্বে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ভাড়া করা ৪০-৫০ জন সন্ত্রাসী কতৃক দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা করে মেয়ে পক্ষের বেশ কয়েক জনকে আহত করেছে এবং বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙ্গচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। এসময় ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনীরা রামদা, বল্লম, টেটা সহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আক্রমণ চালিয়েছে বলে অভিযোগ স্হানীয়দের।
জানা যায়, ফুলপুর উপজেলার ৭ নং রহিমগঞ্জ ইউনিয়নের তিতপুর গ্রামের আঃ হেকিমের মেয়ে ফারজানা আক্তার (১৬) এর সাথে
ময়মনসিংহ সদর, উপজেলার ৪ নং অম্বিকাগঞ্জ ইউনিয়নের পরানগঞ্জ বাজার সংলগ্ন, চরবউলা গ্রামের বাবার বাড়িতে বসবাসকারী স্বামী পরিত্যাক্ত জুবেদা বেগম (৬০) স্বামী মোঃ দুলাল মিয়া এর ছেলে মোঃ সামাদ মিয়া (সজিব) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে মেয়ে পক্ষের অনুপস্হিতিতে ০৮-০৬-২০২৪ তারিখে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই স্বামী সজিব মিয়া ও তার মা শাহিদা বেগম স্বর্ণ গহনার জন্য কটূকথা বলতে থাকেন এবং কণেকে চাপ সৃষ্টি করে নানান ভাবে হয়রানি করতে থাকে। যৌতুকের জন্য ফারজানা আক্তারকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসছে ছেলে ও ছেলে পক্ষের পরিবার। স্বামী ও শ্বাশুরির নির্যাতনের শিকার হয়ে কয়েক বার ফারজানা আক্তার বাবার বাড়িতে চলে আসে। অবশেষে মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে দিনমজুর বাবা, ছেলে পক্ষকে ব্যবসা করার জন্য কিছু অর্থও প্রদান করেন। কিন্তু বেকার সজীব মিয়া সেই টাকা নানা ভাবে খরচ করে শেষ করে ফেলে এবং আবার সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকে। অবশেষে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে নববধূকে আবার বাড়ি থেকে বের করে দেয়। ব্যবসা করার নামে যৌতুকের টাকার ব্যবস্হা না করে দিতে পারলে স্ত্রীকে বাড়িতে থাকতে দিবেনা বলে ছেলের মায়ের প্রতি অভিযোগ প্রকাশ করেন মেয়ের পরিবার। এমতাবস্হায় ফারজানা আক্তার ২ মাস যাবত তার বাবার বাড়িতেই অবস্হান করছে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, ছেলে পক্ষ পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তিতপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামের নিকটাত্মীয় মৃত আমছর আলীর ছেলে আঃ বারেক মিয়ার বাড়িতে অবস্হান নেয়। জানা যায় আঃ বারেক মিয়া ছেলে সজীব মিয়ার খালু এবং ফারজানা আক্তারের মামা অর্থাৎ সম্পর্কে উভয়েরই নিকটাত্মীয়।
মেয়ে পক্ষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে কোনঠাসা করতে, নিজেদের প্রভাব বিস্তার ও শক্তি প্রদর্শন করতে সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসে বাড়ি ঘরে হামলা চালানো হয়েছে এমনটাই অভিযোগ ভূক্তভোগী পরিবারের।
অতর্কিত আক্রমনের স্বীকার হয়ে পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রণ করতে মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে ফুলপুর উপজেলা পুলিশের সহযোগীতা কামনা করলে ওসি মহোদয়ের নির্দেশে এস আই আজিজুর রহমান আজিজ এর নেতৃত্রে একদল পুলিশ টিম দ্রুত ঘটনা স্হলে পৌছান। পুলিশের উপস্হিতি টের পেয়ে হামলা করতে আসা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
উক্ত ঘটনায়, এসময় হামলা কারীদের বাধা দিতে গিয়ে মেয়ের বড় ভাই রুবেল মিয়া, ছোট ভাই আলফাজ হোসেন রকী, মা ফিরোজা খাতুন সহ মেয়ের চাচা আঃ বারেক, আবু সালেক ফকির, প্রতিবেশী ছয়ফুল ইসলাম, ফকর উদ্দিন, এরশাদ আলী, আমিনুল ইসলাম সহ বেশ কয়েক জন শরীরের বিভিন্ন স্হানে লাঠির আঘাতে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে আহত হয়েছেন। আহতদের স্হানীয় চিকিৎসকের মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।