বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ০৯:৫৭ অপরাহ্ন
আব্দুল্লাহ আল তৌহিদ
নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) নোবিপ্রবির ভিডিও কনফারেন্স কক্ষে ওই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল শুরুতেই যারা কনটেস্ট এ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ও অংশগ্রহণ করেছে তাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এই ধরনের আয়োজন করা আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই উপকারী । একটা নতুন বিষয় রিসার্চ করা এবং সেটি পেপার আকারে পাবলিশ করা, পোস্টার প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সবার সামনে তুলে ধরার কষ্ট টা যিনি করেন একমাত্র তিনিই বুঝেন। সাধারণত আমরা মুখস্থ বিদ্যার উপরে বেশি নির্ভরশীল । আমাদের জেনারেশনে মাস্টার্স বা পিএইচডি করার সময় গবেষণার সুযোগ পেতাম কিন্তু বর্তমান জেনারেশন শুরু থেকে রিসার্চ করার সুযোগ পাচ্ছে যেটা তাদেরকে ভবিষ্যতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক বেশি কাজে দিবে। এই ধরনের গবেষণা করার জন্য যত রকমের সহযোগিতা প্রয়োজন আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা করব। আমি আমার শিক্ষার্থীদেরকে বলতে চাই তারা যাতে করে এখন থেকে নিজেকে প্রস্তুত করে ভবিষ্যতের জন্য। কেননা ভবিষ্যতে কোন কিছু করার মত সময় থাকবে না, নিজেকে এখন থেকেই প্রস্তুত করতে হবে। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর উত্তরোত্তর মঙ্গল কামনা করছি। ”
নেবিপ্রবি গবেষণা সংসদের প্রেসিডেন্ট খাদিজা খানমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ডঃ মফিজুল ইসলাম, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর আব্দুল কাইউম মাসুদ, বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুপদ কুমার ঘোষ, বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুবোধ কুমার ঘোষ নেবিপ্রবি গবেষণা সংসদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর রেজওয়ানুল হক বলেন, এই ধরনের অনুষ্ঠান করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে রিসার্চকে উন্নত করা। আমাদের রিসার্চ আমাদেরকেই করতে হবে। তবে আমি একটা বিষয় বলতে চাই এবারের আয়োজন শুধু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল, তবে পরবর্তীতে আমরা শুধু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে আশেপাশে যে সকল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রয়েছে তারাও যাতে এইরকম অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে সেই ব্যবস্থা করা। যাতে করে তাদের সাথে কমপ্লিট করে আমরা জিততে পারি। তাহলে আমরা আমাদের সক্ষমতা গুলো সবার সামনে তুলে ধরতে পারব। এইজন্য যতোটুকু সাহায্য করা প্রয়োজন আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা করব।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলে তো গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ রিফাত মিয়া, জুলজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হুমায়রা মাহমুদ, শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক মো. শাহরিয়ার শফিক সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও নোবিপ্রবি গবেষণা সংসদের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, রিসার্চ কনটেস্টটি দুইটি ভাবে বিভক্ত ছিল। রিসার্চ প্রপোজাল ও রিসার্চ বেজড পোস্টার প্রেজেন্টেশন। গত ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি এই কনটেস্ট অনুষ্ঠিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। রিসার্চ প্রজেক্ট কন্টেস্টে সর্বমোট ৩৫ টি টিম রিসার্চ প্রপোজাল জমা দেয়ার মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় রেজিষ্ট্রেশন করেছিলো। ৩৫ টি টিমের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সায়েন্স ফ্যাকাল্টি থেকে ১৭ টি টিম, বিজনেস ও সোশ্যাল সায়েন্স থেকে ১২ টি টিম পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। এতে রিসার্চ বেজড পোস্টার প্রেজেন্টেশন টিম ছিল ১৩টি। প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই কন্টেস্টটি শুধুমাত্র নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলো। ভবিষ্যতে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রিসার্চ বেইজড বিভিন্ন কনটেস্ট এবং কনফারেন্স আয়োজনের পরিকল্পনা নোবিপ্রবি গবেষণা সংসদের রয়েছে।আয়োজন করবে।
প্রতিযোগিতায় সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টি থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টিম ইনসাইট স্কোয়াড, সোস্যাল সাইন্স ফ্যাকাল্টি থেকে টিম লিভ টেক, বিজনেস ফ্যাকাল্টি থেকে শ্যাডো মোনার্ক।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।