নোবিপ্রবি প্রতিনিধি:
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক (সাময়িক বহিষ্কৃত) বাদশা মিয়ার স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে এবং দুইবছরের সাময়িক বহিষ্কার হাইকোর্ট কর্তৃক স্থগিত আদেশের প্রতিবাদ জানিয়ে মশাল মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাত নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে মিছিল শুরু করে বিভিন্ন হল প্রদক্ষিণ করে আবার শহিদ মিনারে এসে শেষ হয় এবং সেখানে মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে করেন তারা।
মশাল মিছিলে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ গ্রহন করেন। এসময় তারা স্বৈরাচারের দালালেরা, হুশিয়ার সাবধান, জাস্টিস ফর ফয়েজ, জ্বালোরে জ্বালো আগুন জ্বালো, বহিষ্কার বহিষ্কার-স্থায়ী বহিষ্কারসহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। মশাল মিছিল শেষে সমাবেশে দাবি করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী ফয়েজ আহমেদের শিক্ষাজীবন ধ্বংস করেও ক্ষান্ত হয়নি বাদশা মিয়া, অভিযোগ তুলে নিতে ফয়েজের পরিবারকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।
মশাল মিছিল শেষে বক্তৃতায় আইন বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রানা বলেন, আওয়ামী লীগের দোসর, আইন বিভাগের সাময়িক ভাবে বহিষ্কৃত শিক্ষক বাদশা মিয়া আমাদের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফয়েজ ভাইয়ের জীবনের তিনটি বছর নষ্ট করে দিয়েছে। বিনা কারণে তাকে কয়েক মাস অন্ধকার কারা বরণ করতে হয়েছে। ফয়েজ ভাইয়ের কোন দোষ ছিল না । বাদশা মিয়া এ কাজ করেছেন শুধুমাত্র উপরের মহলের তাবেদারি করার জন্য। যাতে তিনি প্রমশন পান। আমরা বলতে চাই তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হোক। তা না হলে বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উন্নয়নের যে উদ্দেশ্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিল তা বাস্তবায়ন করতে পারবে না।
আইন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী জাফর আহমেদ বলেন, "বাদশা মিয়া শুধু নোবিপ্রবির নয়, সারা দেশের একটি কলঙ্কিত অধ্যায়। শিক্ষকতার নাম করে তিনি দলান্ধ আচরণ ও একটি নির্দিষ্ট শাসকগোষ্ঠীর চাটুকারিতায় লিপ্ত ছিলেন। শেখ হাসিনার যেভাবে কোনো নিয়মকানুন না মেনে ভারতে পালিয়ে যাওয়া এবং আমরা যেভাবে কোনো নিয়মকানুন না মেনে স্বৈরাচারকে দমন করেছি—আপনারা আমাদের এখন নিয়মকানুন শেখাবেন না।
তিনি আরো বলেন, যে ব্যক্তির স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত হওয়ার কথা, তাকে মাত্র দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করে আপনারা প্রমাণ করেছেন যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। আমরা লক্ষ্য করেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ স্যারের সঙ্গে বাদশা মিয়ার একটি চ্যাট আলাপ রয়েছে—যেখানে দেখা যায়, হানিফ মুরাদ স্যার একজন ফ্যাসিস্ট বাদশা মিয়াকে পুনর্বহাল করতে চাইছেন।
আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই, আপনারা একটি বিপ্লবী প্রশাসনের ভূমিকা পালন করুন এবং বাদশা মিয়াকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে ক্যাম্পাসে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন।"
নিউজ রুমঃ News.dainikparibarton@gmail.com অথবা News@dainikparibarton.com
মোবাইল: +8809696195106 অথবা +8801715-395106
All rights reserved © 2020-2025 dainikparibarton.com