বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৩ অপরাহ্ন
আবদুল্লাহ আল তৌহিদ,
নোবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি ) একাডেমিক ভবন (২) দুইয়ের লিফট বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এর ফলে ১০ তলা পর্যন্ত সিঁড়ি বেয়ে উঠতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন দুইয়ে রয়েছে মাত্র দুইটি লিফট। এই ২ লিফটেই প্রতিদিন উঠা-নামা করেন শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রায় ২-৩হাজার শিক্ষার্থী। প্রায় দুইবছর থেকে মাঝেমধ্যে একটি কিংবা দুইটি লিফট অকেজো হয়ে পড়ে। এরমধ্যে গত কয়েক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে ১টি লিফট।শুধুমাত্র চলমান আছে ১টি লিফট।চলমান ওই একটি লিফট দিয়ে উঠানামা করে শিক্ষক শিক্ষার্থী সকলে।এর ফলে ভোগান্তি পড়তে হয় সকলকে।
আরও দেখা যায়, প্রতিদিনই লিফটের সামনে লেগে থাকে লম্বা লাইন। আধাঘণ্টা থেকে ১ ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকেও অনেকেই লিফটে উঠতে পারেন না। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের একেকটি লিফটের ধারণক্ষমতা প্রায় ৫০০-৭০০ কেজি। একবারে একটি লিফটে সর্বোচ্চ ১০-১২জন উঠতে বা নামতে পারে। এর মধ্যে ১নং লিফটটি বন্ধ থাকায় বাকি আরেকটি লিফট দিয়ে উঠানামা করতে হয় শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। সচল লিফটিও মাঝেমধ্যে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ থাকলে ভোগান্তি আরও দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়।
কৃষি বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী জেরিন ফেরদৌস বলেন, সম্প্রতি আমি দুর্ঘটনার স্বীকার হই এবং পায়ে ব্যাথা পাই। আমার ক্লাস ১০ তলায়। আগে নিয়মিত সিঁড়ি বেয়ে উঠানামা করলেও এখন পারিনা। কিন্তু ক্লাস টাইমে দীর্ঘ লাইন থাকে। দীর্ঘ এই লাইনের জন্য সহজে লিফট ধরতে পারি না। ফলে প্রায় সময় ক্লাস শুরু হয়ে গেলেও ক্লাসে ঢুকতে দেরি হয়ে যায়।
ইকোনোমিকস বিভাগের শিক্ষার্থী নাইম বলেন, অন্য সময় কষ্ট করে হলেও সিঁড়ি দিয়ে উঠা যায়, কিন্তু সমস্যা হয় পরীক্ষার সময়। সে সময় লিফট ধরতে না পারলে সিঁড়ি বেয়ে উঠলে শরীরে ক্লান্তি লাগে আবার পরীক্ষার সময়ও নষ্ট হয়ে যায়। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা উচিত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইসিই বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের ক্লাস হয় ৮ম তলায়। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে পা ব্যথা হয়ে যায়। একটা লিফট সব সময়ই বন্ধ থাকে। সেটা চালু থাকলেও লাইন কিছুটা কম থাকে। সেটা কেন বন্ধ থাকে সেটাও জানি না, অন্তত ক্লাস টাইমে চালু রাখা উচিত।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল প্রকৌশলী মো: শরিফ হোসাইন বলেন – ভোল্টেজ আপ ডাউন জনিত সমস্যার কারনে কিছুদিন আগেই একাডেমীক ভবন ২য়ের একটি লিফটের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি অকেজো হয়ে যায়।আমরা লিফটটি ঠিক করার জন্য যাবতীয় যন্ত্রপাতি ক্রয় করেছি।আমরা আশা করছি আগামী সপ্তাহে লিফটটি পুনরায় চলবে।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।