আব্দুল্লাহ আল তৌহিদ
নোবিপ্রবি প্রতিনিধি

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) অ্যাকুয়াকালচারে ৪র্থ শিল্পবিপ্লব বিষয়ক ‘ফোর্থ আইআর: বাংলাদেশ অ্যাকুয়াকালচার পার্সপেক্টিভ’ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি সেমিনার কক্ষে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ হানিফ, রিসার্চ সেল এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। সেশন চেয়ার ছিলেন ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেহেদী মাহমুদুল হাসান এবং ভোট অব থ্যাংকস হিসেবে গবেষণা উপস্থাপন করেন একই বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন।

সেমিনারে কি-নোট স্পিকার হিসেবে গবেষণা উপস্থাপন করেন ডিপার্টমেন্ট অব ফিশারিজ, বাংলাদেশ এর সিনিয়র এসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর (ব্লু ইকোনমি) ড. মো. তানভীর হোসাইন চৌধুরী।

আলোচনায় বক্তারা এসময় চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বিভিন্ন প্রয়োগগুলো কিভাবে বাংলাদেশের অ্যাকুয়াকালচারে ব্যবহার করা হচ্ছে, কি কি সুযোগ রয়েছে, চ্যালেন্জগুলো কি কি, ভবিষ্যত সম্ভাবনা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা রাখেন। ড. মো. তানভীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, “চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদের সকল বিষয়ে আপডেটেড থাকতে হবে। বর্তমানে আমরা ফিশারিজের কাজে যে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করি তার পিসিবি ডিজাইন, মাইক্রোকন্ট্রোলার এগুলো আমাদের নিজেদের তৈরি। মৎস্য চাষীদের কিভাবে প্রযুক্তির সাথে আর গভীরভাবে সম্পর্ক তৈরি করা যায় সেজন্য মৎস্য অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে।”

বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল হক বলেন, “নোবিপ্রবি গবেষণায় এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা চাই আরো এগিয়ে যাক। এটা আমাদের জন্য আনন্দের। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব গবেষণায় সহয়তা অব্যাহত থাকবে। আজকে যারা এখানে উপস্থিত হয়েছেন আপনারা গবেষণার ধারণা নিয়ে আরো সামনে এগিয়ে যেতে পারবেন।”

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, “প্রয়োজনীয় ও বাস্তবধর্মী বিষয় নিয়ে আজকের সেমিনার। ব্লু ইকোনোমির সাথে শিল্প বিপ্লবের যে সম্পর্ক স্থাপন, যেটাকে আমরা অটোমেশন বলছি, ব্লু ইকোনোমি সেলের মাধ্যমে সে সেক্টরগুলো আজ উঠে আসবে। মাস্টার্স ও পিএইচডির শিক্ষার্থীরা যদি এটাকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষা ও গবেষণায় অবদান রাখতে পারে তাহলে এ অঞ্চলের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হবে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর যুগে আমরা পিছিয়ে পড়লে অন্যরা এগিয়ে যাবে। একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি এ ধরনের সেমিনার, ওয়ার্কশপ এবং বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং এর মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীদের যদি যুগোপযোগী ও দক্ষ নাগরিক করে গড়ে তুলতে পারি তাহলে আমাদের শিক্ষার্থীদের পাস করার পর চাকরির পিছনে দৌড়াতে হবে না চাকরি তাদের পিছনে দৌড়াবে।”