বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন
নোবিপ্রবি প্রতিনিধি;
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) শিক্ষকদের অংশগ্রহণে ওয়ার্কশপ অন ‘একাডেমিক ইফিশিয়েন্সি: ক্যালকুলেটিং টিচিং লোডস এন্ড স্টাফিং নিডস’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার (২১ মে ২০২৫) নোবিপ্রবি ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) আয়োজনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সংকট নিরসনে আয়োজিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, এ মাসেই আমরা ইউজিসিতে পদ চেয়ে আবেদন করব। ২৭৬ পদ চেয়ে আমরা মাত্র ৬ টি পদ পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২৫ পর্যন্ত যে অর্গানোগ্রাম রয়েছে, তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে এই জুনে এবং সেই আলোকেই পরবর্তী মেয়াদের জন্য নতুন করে অর্গানোগ্রাম করতে হচ্ছে। ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এক্ষেত্রে আগামী ২০৩৫ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনা করে ভবিষ্যতের আলোকে অর্গানোগ্রামে নতুন পদ সৃজন করতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অন্যান্য পদ সৃজনের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
এ সময় উপাচার্য আরও বলেন, বর্তমানে আমরা পেটেন্ট, পাবলিকেশন এবং একাডেমিক এক্সিলেন্স এ বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছি। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রচলিত পদ্ধতির সংস্কার হচ্ছে। গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে পিএইচডি এবং কিউএস জার্নালসহ বিভিন্ন জার্নালের পাবলিকেশনকে।
আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক ড. আসাদুন নবীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ। কর্মশালায় কি-নোট স্পিকার ছিলেন নোবিপ্রবি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আসাদুন নবী। প্রোগ্রাম মডারেটর ছিলেন আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক জি এম রাকিবুল ইসলাম এবং আলোচক হিসেবে ছিলেন আইকিউএসি অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল কাইয়ুম মাসুদ।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।