মো নাহিদ হাসান নিয়ামতপুর নওগাঁ প্রতিনিধি।
আজ সোমবার পবিত্র ঈদুল আযহার বাকি আর একটা দিন আর এরই মধ্যে শেষ হয়ে গেল নিয়ামতপুরের সবচেয়ে বড় পশুর হাট চন্দননগর কলেজ মাঠে । বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন জাতের পশু এসেছে এই হাটে । বাজারের পশুর দাম তুলনা বেশি।
নিয়ামতপুরে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে আসন্ন ঈদুল আজহার পশুর হাট। স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে হাটের বেচাকেনা। ক্রেতাদের সমাগম বাড়ায় গরুর দাম কিছুটা বেড়েছে। এতে হতাশাগ্রস্ত খামারিদের মুখে কিছুটা হাসি ফুটেছে।সরেজমিন দেখা যায়, প্রখর রোদ ও বৃষ্টির মধ্যেই হাটে পশু বেচাকেনা হচ্ছে। সরগরম হয়ে উঠেছে স্থানীয় হাটগুলো।
গ্রামের ক্রেতা মাহবুল ইসলাম জানান, লকডাউন শিথিল হওয়ায় গত দুই-তিনের হাটের চেয়ে আজ (সোমবার ) চন্দননগর হাটে গরুর বাজার ঊর্ধ্বমুখী। এতে ক্রেতারা খুশি না হলেও খামারি ও বিক্রেতাদের মুখে হাসি ফুটেছে। গত সমবার হাটে যে গরুর দাম ছিল ৫৫-৬০ হাজার সেই গরু আজ ৭০-৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনেকেই পশুকে খাওয়ানো ও রাখার বিষয়টি ঝামেলা মনে করে শেষ দিকে গরু কিনছেন। তাই এখন ক্রেতা বেশি।’
জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার চন্দননগর ইউনিয়নে গত সমবার হাটে দেখা যায়, দেশি গরুতে বাজার সয়লাব। বিক্রেতারা বড় গরুর দাম হাঁকছেন ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া সর্বনিন্ম ৬০-৬৫ হাজার টাকাও মিলছে গরু। কোরবানি দাতারা বড় গরু বেশি কিনছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ জেলার গোয়েন্দা শাখার এস,আই মিজানুর রহমান। তিনি বলেন আইজিপি স্যারের নিদ্দেশে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে যে এইখানে গরুর ছাড় ৭০০ টাকা এবং ছাগলের ছাড় ৪০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। শেষ মহুতে কেউ যদি কোন অনিয়মের চেষ্টা করে তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এবং তিনি বলেন সরকারি নিতি মালা অনুযায়ি গরুর খাজনা ৪০০ টাকা ও ছাগলের খাজনা ২০০ টাকা কেউ যদি এর বেশি আদায় করে তাহলে তাদের বেবস্থা নেওয়া হবে।
অবশেষে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় খুব সুন্দর ভাবে শেষ হয়ে গেল নিয়ামতপুরের সবচেয়ে বড় কুরবানির পশুর হাট।
নিউজ রুমঃ [email protected] অথবা [email protected]
মোবাইল: +8809696195106 অথবা +8801715-395106
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com