বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৮ অপরাহ্ন
পরিবর্তন ডেস্কঃ
উন্নতমানের হেলমেট ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ক্রেতার হাতে দেওয়ার লক্ষ্যে দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী প্রাণ-আরএফএলের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ডিউরেবল প্লাস্টিক লিমিটেড বাজারে আনতে যাচ্ছে মোটরসাইকেলের হেলমেট।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে দেশে প্রথমবারের মতো উৎপাদিত হেলমেটের আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন করেন প্রাণ-আরএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরএন পাল।
নরসিংদীর পলাশে ডিউরেবল প্লাস্টিক লিমিটেডের নিজস্ব কারখানায় ‘সেফমেট’ হেলমেট উৎপাদিত হচ্ছে। কারখানাটির উৎপাদন ক্ষমতা বছরে ১ লাখ ২০ হাজার পিসের বেশি। প্রাথমিকভাবে এ কারখানায় প্রায় ২০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ পুলিশকে কামড় দিয়ে পালাল মাদক কারবারি
প্রতিষ্ঠানটির এক বার্তায় বলা হয়, বর্তমানে দেশে হেলমেটের বার্ষিক বাজার ৫০০ কোটি টাকা। আমদানির প্রায় ৬০ শতাংশ আসে ভারত থেকে এবং বাকি ৪০ শতাংশ আসে চীন থেকে।গত বছর দেশে ৬ লাখ মোটরসাইকেল বিক্রি হয়েছে উল্লেখ করে এতে আরও বলা হয়, বর্তমানে দেশে ৪০ লাখ মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হচ্ছে।
আর্থ-সামাজিক অবস্থা, জীবনযাত্রার মানের পরিবর্তনসহ নানা কারণে দেশে মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে উল্লেখ করে ডিউরেবল প্লাস্টিক লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক তৌকিরুল ইসলাম জানান, একই কারণে হেলমেটের চাহিদাও বাড়ছে।তিনি বলেন, ‘আমাদের “সেফমেট” হেলমেটের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি অ্যাডভান্সড এবিএস শেল ও পিসি ম্যাটেরিয়ালে তৈরি। এতে আছে উন্নতমানের বেস্ট ও লকিং সিস্টেম। এ ছাড়া, ব্যবহারকারীর স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে এতে দেওয়া হয়েছে উন্নতমানের ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা।’
আরো পড়ুনঃ হিরো আলমকে নিয়ে ‘টুইট’ জাতিসংঘের প্রতিনিধিকে ডেকে যা বলা হলো
ডিউরেবল প্লাস্টিক লিমিটেড জানায়, শুরুর দিকে ২ ধরনের হেলমেট পাওয়া যাবে। হাফ ফেস হেলমেটের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য হবে ১ হাজার ৪০০ টাকা ও ফুলফেস হেলমেটের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য হবে ২ হাজার ২৫০ টাকা। সুপার স্টোর, বাইক এক্সেসরিজ ও হেলমেট বিক্রি হয় এ রকম শোরুমে ‘সেফমেট’ হেলমেট পাওয়া যাবে।
দেশের চাহিদা মিটিয়ে ‘সেফমেট’ হেলমেট রপ্তানির পরিকল্পনা আছে জানিয়ে তৌকিরুল ইসলাম বলেন, ‘ইতোমধ্যেই কয়েকজন বিদেশি ক্রেতা কারখানা ঘুরে গেছেন। আমাদের উৎপাদন ব্যবস্থায় তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।’
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।