ডিমলায় চলছে প্রথম দিনের লকডাউন। কঠোর অবস্থানে প্রশাসন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা।
(জামান মৃধা,নীলফামারী প্রতিনিধি)
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানী ইউনিয়নের চাপানীর হাটে লকডাউনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (১লা জুলাই) ৩টি মামলায় দুই হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জয়শ্রী রানী রায় এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত চলমান বিধি-নিষেধ না মানায় এ জরিমানা আদায় করেন তিনি। লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও ডিমলা থানা পুলিশ।
আজ ভোর থেকে লকডাউন বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। অতি জরুরি প্রয়োজনে রাস্তায় এসে যানবাহন না পেয়ে বিপাকেও পড়েছেন অনেকে। হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে অনেককে।
সকালে ডিমলা উপজেলার মেডিকেল মোড়, পোস্ট অফিস মোড়, ডিমলা অটোস্ট্যান্ড, বাস স্ট্যান্ড, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশের চেকপোস্ট দেখা যায়। রোগী ও জরুরী পরিবহন ছাড়া অন্য যেকোনো পরিবহনকে ফিরিয়ে দিতে দেখা যায় পুলিশকে।
ডিমলা সদর উপজেলার বেলাল উদ্দিন শেখ বলেন, লকডাউনের জন্য সব কাজ আটকে আছে। অনেক কষ্টে ম্যানেজ করে ডিমলা সদরে এসেছি। ডিমলা সদরে দুই/একটা রিকশা চলছে। তাও রিকশার ভাড়া অধিক।
শুটিবাড়ী বাজারের জুতা সেলাই করেন সুজন দাস। তিনি বলেন, লকডাউনে সব থেকে ক্ষতি হচ্ছে আমাদের। জানি আজকে মানুষ আসবে না তারপরও দোকান খোলা রেখে বসে আছি। দেখি কিছু কাজ করতে পারলে!!! গতকাল এক টাকা রুজি হয় নাই। সারাদিন বৃষ্টির কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হয় নাই।
অটোরিকশা চালক করিম শেখ বলেন, অটোরিকশা না চালালে খাবো কি। সকল ৭টা থেকে ৫০ টাকা রুজি হয়েছে। মানুষ নেই বললেই চলে। অন্যদিন এই সময়ের মধ্যে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা রুজি হতো। এই টাকায় আমার সংসার চলে। নিজের পকেট খরচ আছে। দেখি আরো কিছু সময় থাকবো। তারপর বাড়ী চলে যাবো।
ডিমলা থানা পরিদর্শক (তদন্ত) বিশ্বদেব রায় বলেন, সরকারি নির্দেশে আমরা মাঠে কাজ করছি। ভোর থেকে আমরা মাঠে আছি। মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করতে অনুরোধ করছি। তার প্রয়োজন বোঝার চেষ্টা করছি যদি বেশি প্রয়োজন হয় তাকে সুযোগ দিচ্ছি। যদি সঠিক কারণ দেখাতে না পারে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছি। সরকারি নির্দেশ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি আমরা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়শ্রী রানী রায় বলেন, এ উপজেলায় পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আনসারসহ একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। আমি নিজেও আছি মাঠে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সকল কিছু বন্ধ রেখেছি। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে এবং সকল বিধিনিষেধ কার্যকর হচ্ছে।
নিউজ রুমঃ [email protected] অথবা [email protected]
মোবাইল: +8809696195106 অথবা +8801715-395106
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com