মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৭:০৩ পূর্বাহ্ন
জামান মৃধা, ডিমলা (নীলফামারী)
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় অবৈধ ভেকু মেশিন দ্বারা মাটি কাটার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মারধরের ঘটনায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক নূর মোহাম্মদ সুমন গত রবিবার (২৬শে মার্চ) রাতে ডিমলা থানায় এ মামলা করেন। মামলায় হত্যাচেষ্টা, মারধর, টাকা-পয়সা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. লাইছুর রহমান দৈনিক কালবেলাকে মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় ডিমলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মেজবাহুর রহমানসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন- গোলাম রব্বানী (২৮), এহসানুল হক (২৫), উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মেজবাহুর রহমান (৪২), সাব-ঠিকাদার নয়ন দাস (৫০), সায়েদ আলী (৩৫), মেজর (৪৫), ফরিদুল ইসলাম (২৪), প্রশান্ত রায় (২৪), মিজানুর রহমান (২২) এবং অজ্ঞাত আরও ১৫-২০ জন।
গত রবিবার বিকালে উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের শিক্ষকপাড়া এলাকায় ২০২১-২২ অর্থবছরে ত্রাণ ও পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের পর প্রথমে বোমা মেশিন তারপর অবৈধ ভেকু মেশিন দ্বারা সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ চলছিল। উল্লেখ্য, ভেকু মেশিন দ্বারা মূল সেতুর পিলারের নিকট থেকে মাটিকাটার ভিডিও ফুটেজ এবং বিভিন্ন কর্মযজ্ঞের তথ্য ও সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন শিরোমনি পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি নূর মোহাম্মদ সুমন।
মামলার বিষয়ে ওসি মো. লাইছুর রহমান বলেন, মামলা হয়েছে। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত শুরু করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে এ ন্যাক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছেন প্রেসক্লাব ডিমলা, রিপোর্টার্স ইউনিটি ডিমলা, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ডিমলা। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘সাংবাদিক নির্যাতনের এ ধরনের ঘটনা যেমন উদ্বেগজনক ও নিন্দনীয় তেমনি অবৈধ বোমা মেশিন দ্বারা মাটিকাটা বা অপরিকল্পিত ভেকু (এস্কেভেটর) মেশিনের ব্যবহার প্রকৃতির জন্য মারাত্মক হুমকির। বিষয়টির সার্বিক অনুসন্ধান এবং দায়ীব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
এ ঘটনায় সাব-ঠিকাদারের প্রতিনিধি মো. গোলাম রব্বানীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমাদেরকে ইউএনও-পিআইও স্যার কাজ করার অনুমতি দিয়েছে, তাই বালু তুলছি! আমরা ভেকু (স্কেবেটর) মেশিন দিয়ে বালু তুলে রাস্তার সংযোগ সড়কের কাজ করছি, এমন সময় উনি (নূর মোহাম্মদ) এসে ছবি তুলতে বাধা প্রদান করার পরও ছবি তুলেন! এজন্য আমাদের সাথে ওনার হাতাহাতি হয়েছে। আপনারা এসেছেন উনাকে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মেজবাহুর রহমান মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি বলেন, চাঁদা চাইতে গেলে তো সাংবাদিকরা মাইর খাবেই এটাই স্বাভাবিক।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।