জামান মৃধা, ডিমলা (নীলফামারী)
সফল সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বড় বোন সেলিমা ইসলাম এর ছেলে ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের সাথে ডিমলা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দদের ভার্চুয়াল মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার পর ডিমলা ইসলামিয়া ডিগ্রী কলেজ মাঠের এই মহাসমাবেশে ভার্চুয়াল মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত ভার্চুয়াল মিটিং এ প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন নীলফামারী জেলা বিএনপি'র সাবেক সভাপতি ও (ডোমার-ডিমলা), নীলফামারী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নীলফামারী জেলা বিএনপি সভাপতি আ,ম,খ আলমগীর সরকার, সাধারণ সম্পাদক মো. জহরুল আলম, ডিমলা উপজেলা বিএনপি সভাপতি অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আরিফ উল ইসলাম (লিটন), সাধারণ সম্পাদক মো. বদিউজ্জামান রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. গোলাম রব্বানী প্রধান।

এছাড়া উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দলসহ বিএনপি ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ভার্চুয়াল উপস্থিত থেকে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, এদেশে সংখ্যালঘু বলতে কিছু নেই। আমরা সবাই দেশের নাগরিক এবং সমঅধিকার ভোগ করি। একটি অপশক্তি বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি'র এই গণজোয়ারের সুফল ঘরে তুলতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তাহলেই আমরা সফল হব।

২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব ছেড়ে দেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদ। আর সেনা সমর্থিত প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফখরুদ্দিন আহম্মদ। এছাড়া ওইদিনই এক অনুষ্ঠানে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর শুরু হয় রাজনৈতিক নেতাদের ধরপাকড়। দুর্নীতির কাল্পনিক অভিযোগসহ বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগে দায়ের করা মামলায় প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের (বিশেষ করে বিএনপি'র) শীর্ষ নেতাদের অনেকেই গ্রেফতার হন। ফখরুদ্দীন-মঈনুদ্দিন kসরকার পরবর্তী সময়ে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি ও জামাত নেতাকর্মীদের নামে কাল্পনিক ও মিথ্যা মামলার একই ধারা অব্যাহত থাকে। আর এতে ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনসহ বিএনপি'র হাজার হাজার নেতাকর্মী দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়।