ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পশ্চিম নারগুন ইউনিয়ন আনছারুল ইসলাম ছেলে হাসের খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছে। ৬ বছর পূর্বে ধার দেনা করে প্রথমে ২০-২৫টি হাঁস কিনে পালন শুরু করেন। এরপর নাহিদ কুরাইশি কে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এভাবেই শুরু হয় নাগিদ কুরাইশির এগিয়ে চলার পথা।
নাহিদ কুরেশি সৈয়দপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুলে এন্ড কলেজে লেখাপড়া করেন যখন মার্চ মাসে করোনাভাইরাস শুরু হয় তখন তার কলেজটি বন্ধ হয়ে যায়। সে তখন কি করবে বাসায় এসে হাঁসের খামার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে নাহিদ কুরাইশী, কখন যে কলেজ খুলবে নাহিদ কুরাইশি কিছুই বলতে পারেনা তাই সে সময় এটি কাজে লাগিয়ে নিজ বাড়িতে হাঁস লালন-পালন শুরু করে।
বর্তমান তার খামারে তিনশ হাঁস রয়েছে। এর মধ্যে গড়ে ডিম দেয় ১০০ থেকে ১৫০ টির মতো। প্রতি হালি ডিম বাজারে পাইকারি হিসেবে ৪০/৫০ টাকা দরে প্রতিদিন মোট ডিম বিক্রি করেন ১ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ২৫০ টাকা। এছাড়া ৩-৪ মাস পর পর এক একটি পরিপক্ক হাঁস বাজারে বিক্রি করেন গড়ে ৩৫০ টাকায়।
নাহিদ কুরাইশি জানান, তিনি হ্যাচারি থেকে হাঁসের বাচ্চা কিনে এনে খামারে পালন করেন। প্রতিটি হাঁস পরিপক্ক হতে খাদ্য ওষুধ বাবদ খরচ হয় ৯০-১০০ টাকা।
তিনি আরো বলেন, ‘প্রায় ৬ বছর ধরে হাঁস পালন করে আসছি ,আর হাঁসের খামারের আয় থেকে বর্তমান গরু-ছাগল ও জমি কিনেছি এবং পরিবার- পরিজনকে নিয়ে সুখে-শান্তিতে বর্তমান দিনযাপন করে আসছি। অথচ ৫-৬ বছর পূর্বে অনাহারে-অর্ধাহারে পরিবার-পরিজনকে নিয়ে কোনো রকমে দুবেলা দু-মুঠো ভাত খেতে পেরেছি।’
ঠাকুরগাঁও উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সুত্রে বলেন,‘খাল-বিল ও মৎস্য খামার হাঁস পালনের জন্য উপযোগী। হাঁস পালনের উপযোগী পরিবেশের কারণে অনেকেই নিজ উদ্যোগে হাঁসের খামার গড়ে তুলে যেমন স্বাবলম্বী হচ্ছেন, তেমনি ডিম ও মাংসের চাহিদা মেটাচ্ছেন। আমরা প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে হাঁস পালনকারীদের পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি।
নিউজ রুমঃ [email protected] অথবা [email protected]
মোবাইল: +8809696195106 অথবা +8801715-395106
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com