রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৬ অপরাহ্ন
মনসুর অাহাম্মেদ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ে এ বছর ধান-গমের দাম পায়নি কৃষক। একই অবস্থা ভুট্টারও। কিছুদিন আগে লিচু বাগানের মালিকেরাও লাভের মুখ দেখেনি। বর্তমানে বাজারে রয়েছে ফলের রাজা আম। সেই আমের বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি প্রায় শূন্য।
ঠাকুরগাঁও জেলা সূর্যপুরী আমের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু আমের বাজারে ক্রেতা কম। এতে আম বাগানের মালিক ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা হতাশ। খুচরা বাজারে কম দামে কিছু আম বিক্রি হচ্ছে। তবে মোকামে আমের দাম কিছুটা বেশি। যারা আগাম বাগান বিক্রি করেছেন, শুধু তাদেরই লাভ হয়েছে। বাজারে ১৫০০-২০০০ টাকা মণ দরে উন্নত জাতের আম বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে সূর্যপুরী আম এ দামে পাওয়া যাচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের ঠাকুরগাঁওয়ের উপপরিচালক ও কৃষিবিদ আফতাব হোসেন জানান, এ জেলায় সূর্যপুরী আমের বাগান রয়েছে ২ হাজার ৮৮৭ হেক্টর। বাগানের সংখ্যা দেড় হাজার। এছাড়া এবার ৩০ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় সূর্যপুরী জাতের আম বাগানের সংখ্যা বেশি। এই আম দেখতে আম্রুপালি আমের মতো। খেতে মিষ্টি, সুগন্ধযুক্ত, রসালো আর ছোট আঁটি এই জাতের আমের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। অন্যান্য উন্নত জাতের আমও উৎপন্ন হয়।
ঠাকুরগাঁওয়ের সবচেয়ে বড় ফলের মোকাম ঠাকুরগাঁও রোড বাজারে। এখান থেকে সারাদেশে বিপুল আমের আমদানি হয়ে থাকে। কিন্তু এবার এখানে ক্রেতা খুবই কম। প্রতি কেজি সূর্যপুরী আম বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা জানান, এমনিতেই এ বছর ঠাকুরগাঁও জেলায় আমের উৎপাদন কম হয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী এলাকার জাহাঙ্গীর আলম নামে এক বাগান মালিক জানান, গত বছর আমের ব্যাপক ফলন হওয়ায় দাম কম ছিল। এবার দাম কিছুটা বেশি কিন্তু ফলন কম।
ঢাকার ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি একটি বাগান ৬ লাখ টাকায় কিনেছেন। বাগান পরিচর্যাসহ আনুষাঙ্গিক ব্যয় হয়েছে আরও ৩ লাখ টাকা। সব মিলে বাগানের পেছনে খরচ পড়েছে ৯ লাখ টাকা। এবার ফলন কম হওয়ায় লাভ হবে কম।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক আফতাব হোসেন জানান, গত বছরের তুলনায় এবার আমের ফলন কম হলেও দাম কিছুটা বেশি। তাই কৃষক লাভবান হবে। কৃষক অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি আম বিক্রি করে নগদ অর্থ পাচ্ছেন। এটা তাদের বাড়তি আয়।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।