মনসুর আহাম্মেদ, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌর শহরের ভান্ডারা পাচঁপীর কবরস্থানের দক্ষিন পাশের একটি ধানক্ষেতে পড়ে ছিল যুবকের দুর্গন্ধময় মরদেহটি।
শনিবার (৯ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় দিকে দূগর্ন্ধযুক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে রাণীশংকৈল থানা পুলিশ।
নিহত যুবক হলেন ঐ এলাকার শহিদুল ও আলেফা দম্পতির একমাত্র পুত্র আলেফ রহমান (২১)। সে একই এলাকার সিরাজুলের ইলেকট্রনিক দোকানে মালামাল সরবারহকারীর চাকুরী করতেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন রাণীশংকৈল সার্কেল এএসপি হোসেন থানা পরির্দশক এসএম জাহিদ ইকবাল পিবি আই সহকারি পুলিশ সুপার এবিএম রেজাউল ইসলাম ও সিআইডি'র এস আই মিল্লাত হোসন।
লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত আলেফের মা আলেফা পারভীন তার ছেলেকে হত্যা করে এখানে ফেলে রাখা হয়েছে দাবী করে পুলিশের কাছে এর সঠিক তদন্তসহ সুষ্ঠ বিচার চান।
স্থানীয়রা জানায়, নিহত আলেফ নেশাগ্রস্থ ছিলেন, কিছুদিন আগে সে জেল থেকে
বেরিয়ে সিরাজুলের দোকানে মালামাল সরবারহকারীর চাকুরী নেন। কয়েকদিন আগে পৌরমেয়র আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান নিজ দ্বায়িত্বে আলেফকে রংপুরে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে রেখে চিকিংসা করিয়েছেন। তবে নেশা সে ছাড়তে পারেনি।
নিহত আলেফের বাবা শহিদুল ঘটনাস্থলেই সাংবাদিকদের জানান, আমার ছেলে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে বাড়ীতে নেই। তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি কোথাও পায়নি। আজ সকাল ১১টায় এই ধান খেতে ধান কাটার সময় শ্রমিকরা একটি লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার দেয়। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে হাজির হয় তাদের সাথে
আমিও হাজির হয়। মরদেহের মুখ থেকে শনাক্ত করি এটা আলেফের মরদেহ।
তিনি দাবী করেন তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। তাকে কে হত্যা করেছে এবং কারা এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তাদের খুজে বের করার জন্য উপস্থিত পুলিশদের তিনি অনুরোধ করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার ছেলে দু'বার গাড়ী এক্সিডেন্ট করেছে যাদের গাড়ী নিয়ে এক্সিডেন্ট করেছে তারাই এই ঘটনা ঘটাতে পারে। তবে কারা সেই ব্যক্তি তার নাম তিনি প্রকাশ করেননি।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে নিহতের মা আলেফা পারভীন বলেন, আমার ছেলে নেশা এক সময় করতো জেল থেকে বেরিয়ে চাকুরী নিয়ে সে ভালো হয়ে গিয়েছিল।
থানা পরির্দশক এস এম জাহিদ ইকবাল(ওসি) বলেন, লাশের প্রাথমিক সুরতহাল তৈরী করা হয়েছে। কী কারণে হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়েছে, তা পরিষ্কার নয়। তবে মরদেহের ময়না তদন্ত হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানানো হবে। এবিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নিউজ রুমঃ [email protected] অথবা [email protected]
মোবাইল: +8809696195106 অথবা +8801715-395106
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com