জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমকক্ষ দেশে কেউ নেই। তাঁর দেখানো পথে রাজনীতিও কেউ করে না। তিনি ছিলেন আপদ-মস্তক দেশপ্রেমিক। এখন যারা বঙ্গবন্ধুর নামে রাজনীতি করে তারা বঙ্গবন্ধুকে ব্যবহার করে মাত্র। বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাদের শ্রদ্ধাবোধ নেই, ভালোবাসা নেই। বঙ্গবন্ধুর প্রতি যদি তাদের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা থাকতো তাহলে বঙ্গবন্ধুর মতো তারা দেশের কল্যাণে রাজনীতি করতো, জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করতো। বঙ্গবন্ধুর অনুসারী পরিচয় দিয়ে পাপিয়া-সাহেদের মতো লোক তৈরী হচ্ছে, সম্রাটের মতো লোক তৈরী হচ্ছে। দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দখলবাজি করে নিজেদের আখের গোছাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর সৈনিক পরিচয় দিয়ে। এসব দুর্বৃত্তরা নিজেদের হাতিয়ার ও ঢাল হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহার করে। জাতীয় শোক দিবসে বাংলাদেশ কংগ্রেস আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান এ্যাডঃ কাজী রেজাউল হোসেনের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব এ্যাডঃ মোঃ ইয়ারুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতির জনকের ছবি এখন দেশের সর্বোচ্চ আদালত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের সকল সরকারী প্রািতষ্ঠানে শোভা পাচ্ছে, এটা একটা ভালো দিক। বিশে^র অন্যান্য দেশের জাতির পিতার ছবিও সরকারী প্রতিষ্ঠানে এভাবে শোভা পায়। কিন্তু বাংলাদেশের জাতির পিতার ছবি যত্রতত্র এলোপাতাড়ি ব্যবহারের মাধ্যমে তাঁর প্রতি অসম্মান করা হচ্ছে। রাতারাতি নেতা হওয়ার জন্য যে কেউ তাঁর ছবি দিয়ে পোস্টার-ফেস্টুন করে অলিতে গলিতে টানাচ্ছে। সেটি আবার ক’দিন পরে মাটিতে পড়ে মানুষের পায়ের নীচে যাচ্ছে। জাতির পিতার ছবি এভাবে ইচ্ছামতো ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে। এজন্য সুষ্পষ্ট নীতিমালা জরুরী।
সভাপতির বক্তব্যে এ্যাডঃ কাজী রেজাউল হোসেন বলেন, জাতির পিতা কোন দলের সম্পত্তি নয়। তিনি বাংলাদেশের স্থপতি। তিনি এখন জাতির পিতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তিন এখন সার্বজনীন সম্পদ। তিনি এখন দল, মত, রাজনীতি সব কিছুর উর্ধে। কোন দল রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে এখন আর ইচ্ছেমতো তাঁর ছবি ব্যবহার করতে পারে না। তাঁর ছবি ব্যবহার করতে হলে সরকারী অনুমোদন নেয়ার বিধান চালু করতে হবে। টাউট, বাটপাড়, চাঁদাবাজ, মাদকখোর, টাকা পাচারকারী যে যার মতো জাতির পিতার ছবি ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ হাচিল করে নিচ্ছে। তাঁর সমাধীক্ষেত্র বা প্রতিকৃতি সার্বজনীন করা উচিৎ যাতে সর্বশ্রেণীর মানুষ তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারে।
দলের মহাসচিব এ্যাডঃ মোঃ ইয়ারুল ইসলাম প্রশ্ন তুলে বলেন, রাজনৈতিক দলের পোস্টার-ব্যানারে দল প্রধানের ছবি থাকবে, কিন্তু জাতির জনকের ছবি কেনো? বিশে^র কোন দেশে জাতির জনকের ছবি নিয়ে এভাবে রাজনীতি হয় না। তাঁকে নিয়ে গবেষণা হোক, তাঁর আদর্শ সম্পর্কে সবাইকে জানানো হোক, তাঁর দেখানো পথে মানুষকে চলতে শেখানো হোক। কিন্তু তাঁকে নিয়ে টানাহেচড়া করে যেভাবে অপরাজনীতি হচ্ছে, তা তাঁর প্রতি অসম্মানের নামান্তর। জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে অচিরেই তাঁর ছবি ব্যবহারের নীতিমালা প্রণয়ন করা হোক।
দলের যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল মোর্শেদ, অর্থ সম্পাদক এম. তাহের উদ্দিন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডঃ দেবদাস সরকার, সমাজ সেবা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক এ্যাডঃ জিয়াউর রশিদ, পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক আবু সায়েম মুহাম্মদ সা’দাত-উল করিম, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন আল আমিন ব্যাপারী, মোস্তাফিজুর রহমান মুস্তু, খন্দকার জাহিদুল হক প্রমুখ উক্ত ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন।
নিউজ রুমঃ [email protected] অথবা [email protected]
মোবাইল: +8809696195106 অথবা +8801715-395106
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com