নোবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
আব্দুল্লাহ আল তৌহিদ-
সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি এবং কোটা বাতিলের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও বিক্ষোভ-মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। চতুর্মুখী এ আন্দোলনে কার্যত এক ধরনের অচলাবস্থা বিরাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ে।
কোটা সংস্কারের দাবিতে নোবিপ্রবিতে ছাত্র সমাবেশ
বুধবার (১০ জুলাই) শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টানা কর্মবিরতিতে নোবিপ্রবিতে কোনো ধরণের ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। এমনকি থিসিস, গবেষণাসহ ল্যাবের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকতে দেখা যায়। এছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতির ফলে সকল ধরনের অফিস কার্যক্রম বন্ধ ছিলো। কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয়। শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে নোবিপ্রবির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে থেকে কোটা বিরোধী বিক্ষোভ র্যালী বের করে, যা পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা কোটার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। বৈষম্যের ঠাঁই নাই আমার সোনার বাংলায়, বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই, জেগেছে রে জেগেছে ছাত্র সমাজ জেগেছে, একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠো আরেকবার, কোটা না মেধা! মেধা মেধা, সারা বাংলায় খবর দে কোটা রথার খবর দে, স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠে ক্যাম্পাস।
কোটি বিরোধী আন্দোলন থেকে বক্তারা বলেন,সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে দেশব্যাপী গণআন্দোলনের সাথে সংহতি জানিয়ে আমরা এখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি এবং কোটা সংস্কারের জোর দাবি জানাচ্ছি।
অন্যদিকে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারীকৃত পেনশনসংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছে নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি। দাবি আদায় না হওয়ায় সর্বাত্মক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ক্লাস, পরীক্ষা বা দাপ্তরিক কার্যক্রম সবকিছুই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে।
সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা-২০২৩ এর প্রজ্ঞাপন হতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহার ও কর্মকর্তাদের জন্য ইউজিসির সুপারিশকৃত অভিন্ন নীতিমালায় ১২ দফা সংযোজনের দাবিতে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স এসোসিয়েশনের আহ্বানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচে সকল কর্মকর্তারা কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
এ ছাড়া পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতির ডাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা প্রশাসনিক ভবনের পাশে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
নিউজ রুমঃ [email protected] অথবা [email protected]
মোবাইল: +8809696195106 অথবা +8801715-395106
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com