বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০০ অপরাহ্ন
মোঃ শিহাব উদ্দিন গোপালগঞ্জ
গোপালগঞ্জে আবারো ঝরে গেল ঘোনাপাড়ার মৃত. বীর মুক্তিযোদ্ধা বাকা মিয়ার সন্তান, আওয়ামী লীগ কর্মী গ্রাম্য ডা. মো. আলিমুজ্জামান চৌধুরি আলিম। কারাগারের মান্ধাতা আমলের চিকিৎসা ব্যবস্থাই তার মৃত্যুর একমাত্র কারণ। দেশের ক্ষমতা ধরিরা সাধ্য মত সব কিছুর উন্নয়ন করার চেষ্টা করে বাদ পড়ে যায় এই সেক্টরটি। আমাদের দেশের কারাগার চলে সেই তখা কথিত আগের নিয়মে। হাজতিরা মরছে চিকিৎসার অভাবে ও খুদা নিবারণ করছে ঝিল ওয়ালা চাউল খেয়ে। এ ব্যপারে সংস্কার পন্থি সরকারের বিশেষ দৃস্টি আকর্ষণ করছি।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর ছবি ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ালে আলিমুজ্জামান চৌধুরীর ঘোনাপাড়ার মার্কেট এবং বাড়িতে বিএনপির লোকজন হামলা করে। এসময় আলিমুজ্জামান চৌধুরীকে কুপিয়ে জখম করেন হামলাকারীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি থানায় অভিযোগ করতে গেলে তার অভিযোগ না নিয়ে তাকেই হত্যা মামলায় গ্রেফতার করেন পুলিশ।
নিহতের স্বজনরা জানান গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারের ভিতরে আলিমুজ্জামান স্টোক করার পর থেকে প্রতিটা জায়গায়ই নানান ভাবে কর্তৃপক্ষ সময় ক্ষেপণ ও হাসপাতালে কর্তব্যরত নার্স ও চিকিৎসকদের অবহেলা এবং চিকিৎসার অভাব দেখা দেয় যার ফলে বিনা চিকিৎসায় ঢাকায় কারাগারের মধ্যেই তিনি মারা যান। এর আগে সকালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে সে খবরও যথাসময়ে দেওয়া হয়নি তার পরিবারের সদস্যদের। দিদার হত্যা মামলার আলিমুজ্জামান চৌধুরি জেল হেফাজতে থাকা অবস্থায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন জানান তারা। তারা আরো বলেন গত কয়েক দিন আগে দুই দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ, রিমান্ড শেষে তাকে আবারো কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।
জানা যায়, রবিবার (১৩ অক্টোবর) সকাল নয়টার গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে দিকে আলিমুজ্জামান চৌধুরি। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে গোপালগঞ্জ শেখ সাহেরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে পুলিশ সদস্যদের একটি টিম তাকে প্রথমে ফরিদপুর জেলা কারাগারে নিয়ে সেখানকার আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তার পরিস্থিতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রেফার্ড করেন। পরে বিকালে ঢাকায় নিয়ে প্রথমে কারাগারের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন কর্তৃপক্ষ। এরপর রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে যাওয়া হয়।
উল্লেখ্য গত ১৩ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের ঘোনাপাড়ায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জেলানীর গাড়ি বহরে হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে এসময় কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের নেতা শওকত আলী দিদার নিহত হয় । এ ঘটনায় গোপালগঞ্জের দুই আসনের এমপি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম এর সদস্য জননেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিমসহ ১১৭ জননকে নামধারী ও ৩২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন দিদারের স্ত্রী রাবেয়া রহমান।
নাম না জানাতে ইচ্ছুক এলাকাবাসীরা জানান, হত্যা মামলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরি বাকা মিয়ার সস্তান আলিমুজ্জামান চৌধুরীকে ১০৪ নং আসামী করা হয়। জানা যায় ঘটনার দিন তিনি উপস্থিত না থেকেও মামলার আসামী হওয়া সহ ঘোনা পাড়া এলাকায় থাকা তার মার্কেট হোটেল ভাঙচুর ও লুটপাট হয়। এমনকি তার নিজস্ব সম্পত্তি রক্ষা করতে আসলে দূবৃত্তরা তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ফেলে রেখে জান। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি মামলা করতে গেলে তাকে আটোক করে গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। জেল হাজতে সুচিকিৎসার অভাবেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে এলাকাবাসী ধারণা করছে
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।