মোঃ শিহাব উদ্দিন, গোপালগঞ্জঃ
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ১নং জালালাবাদ ইউনিয়ন ঘোনাশুর বরফা গ্রামের সেকেন্দর আলী মুন্সির ছেলে সোহাগ মুন্সির উপর হামলা চালায় এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মহল। এ ব্যপারে সোহাগ মুন্সির বোন হাজেরা খানম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। সন্ত্রাসী হামলার তাণ্ডবে সোহাগ মোল্লা এখন বিছানায় বসে আছেন। অপর দিকে সন্ত্রাসীদের মদদ দাতা একই এলাকার ইউপি সদস্য হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে প্রকৃত আসামীদের মামলা থেকে বাদ পড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ করেন মামলার বাদী।
গোপালগঞ্জের জালালাবাদ ইউনিয়নের ঘেনাশুর বড়ফা গ্রামে বাড়ির সামনে টোং বানিয়ে বসে থেকে কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের উত্ত্যক্ত করায় প্রতিবাদ ও স্থানীয় অলিয়ার মেম্বারের কাছে নালিশ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে তারই ইশারায় পালিত হাসান মোল্লা, রায়হান মোল্লা, নয়ন মোল্লা, মামুন মোল্লা, আবু তালেব মোল্লা, হাছান মোল্লা, রাজন মোল্লা সহ আরো অনেকে সেকেন্দার আলী মুন্সির পরিবারের উপর হামলা করে। হামলায় গুরুতর আহত হন সি,এ পড়ুয়া ছাত্র সেকেন্দার আলী মুন্সির ছেলে সোহাগ মুন্সি।বর্তমানে তিনি মাথায় আঘাতজনিত কারণে পাগল প্রায়।
এ ব্যপারে মৃত সেকেন্দার মুনন্সি “ল” পড়ুয়া মেয়ে হাজেরা খানম গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন,ঘটনার দিন আমাদের সাথে বোকাটে ছেলেদের যখন তর্কাতর্কি হয় মেম্বার ব্যাপার টা সমাধান না করে বখাটেদের বলে যায় আমি এই ব্যপারে আর নেই তোরা যা পারিস তাই কর। মেম্বারের আশ্রয়েই তারা আমাদের উপর এই হামলা পরিচালনা করেন। পরবর্তীতে আমরা বিচারের দাবিতে একটি মামলা দায়ের করি। মামলাটি প্রভাবশালী হওয়ায় মেম্বার টাকার বিনিময়ে নষ্ট করে দিয়েছে। আমার ভাইকে যারা মেরেছে তাদের নাম বাদ দিয়ে গুপিনাথপুর ফাড়ির এস,আই আবু হাসান টাকার বিনিময়ে প্রকৃত আসামীদেরকে বাদ দিয়ে চার্জশিট দিয়ে দিয়েছেন। তিনি আমার মামলার সাক্ষীদের সাক্ষী না নিয়েই তার মন মতো করে লিখে কোর্টে যে সাক্ষীর প্রতিবেদন দাখিল করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এখন তারা আমাদের খুব অত্যাচার করছে। আমাদের পরিবারের লোকজন সন্ত্রাসীদের ভয়ে ভীত। আমরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। আমি আমরা পরিবারের উপর হামলা কারীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানাই। এ ব্যপারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মামলার তদন্তকারী অফিসার এস,আই আবু হাসান এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ঘটনা ঘটার পর ঘটনা স্থলে গিয়ে তদন্ত করেছি, তদন্তে যা পেয়েছি সেই ভাবেই প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। বাদীর যদি আমার দেওয়া প্রতিবেদন নিয়ে কোনো সমস্য থাকে তাহলে সে নারাজি দিয়ে আবার প্রতিবেদন করুক। আমি কোন ভুল প্রতিবেদন করি নাই।
নিউজ রুমঃ [email protected] অথবা [email protected]
মোবাইল: +8809696195106 অথবা +8801715-395106
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com