মোঃ শিহাব উদ্দিন গোপালগঞ্জ
গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার পুইশুর ইউনিয়নের সীতারামপুর ইউনিয়ন পরিষদের পার্শ্বের জায়গা বর্তমানে জায়গার উপর একটি সীতারামপুর কিন্ডার গার্ডেন স্কুল নামক একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই জায়গার প্রকৃত মালিক মুরাদ আলী সিকদার। সে এই জায়গা দেখিয়ে ইতালি প্রবাসী সিহাব উদ্দিন (সোহাগ) সহ আরো লোকজনের কাছ থেকে প্রতারনা করে টাকা নিয়ে প্রতারনা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কাশিয়ানী উপজেলার সীতারামপুর মৌজার জেএল নং- ১৪৫ ,খতিয়ান নং ৩২০ , দাগ নং- ২৫৮৯ এর ৭.২৫০ শতাংশ জমির ও জমির উপরের সকল স্থাপনা সহ বিক্রয় করেন এই প্রতারক মুরাদ আলী সিকদার। সিহাব উদ্দিন সোহাগ এই জায়গা বাবদ মুরাদকে ৯লক্ষ টাকা প্রদান করেন। দলিল করার তারিখ পড়লে পালিয়ে যায় মুরাদ। আজও পালিয়ে বেড়াচ্ছে প্রতারক মুরাদ। নগদ টাকা দিয়ে পথে পথে ঘুরছে বিদেশ প্রবাসী ও তার পরিবার।
এ ব্যাপারে প্রবাসীর স্ত্রী শিল্পী আকতার বাদি হয়ে রামদিয়া তদন্ত কেন্দ্রে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। আভিযোগে মুরাদ আলী সিকদারকে ১নং আসামী, তার স্ত্রীকে ২নং ও তার ছেলে একাধিক মাদক মামলার আসামী মুন সিকদারকে আসামী করা হয়।
এ ব্যপারে বেশির ভাগ এলাকাবাসীরা বলেন, মুরাদ সিকদার তাদের সম্মুক্ষে প্রবাসী সোহাগের নিকট হতে ৯ লক্ষ টাকা নিয়েছে এই জমি বাবদ। আমরা যেদিন এই জমির দলির করার জন্য মুরাদের কাছে শুনে সময় নির্ধারণ করি। সে সময় সে রেজিস্টার অফিসে উপস্থিত না হয়ে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে প্রতারক মুরাদ সিকদারের স্ত্রীর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার স্বামী ওদের কাছে জমি বিক্রি করেছে তা আমি প্রথমে জানতে পারি নাই, পরবর্তীতে আমি যখন ব্যাপারটি জানতে পারি তখন তার সাথে আমার পারিবারিক ভাবে কলহের সৃষ্টি হয়। তারপর থেকে তাকে খুঁজে পাচ্ছি না। আর ওদের কাছ থেকে আমার স্বামী জমি বাবদ টাকা নিয়েছে ৪ লক্ষ টাকা ৯ লক্ষ টাকা নয়।
প্রতারক মুরাদ আলী শেখের স্ত্রী কিছুই জানে না তার স্বামীর জমিজমার ব্যাপারে কিন্তু চার লক্ষ টাকা নিয়েছে তার স্বামী তা সে জানে। গণমাধ্যমকর্মীদের সরেজমিন তদন্তে এবং এলাকাবাসীর বক্তব্যে এটাই প্রমাণিত হয় মুরাদ সিকদার তার পরিবারের লোকজন এই জমি প্রতারণা পরিকল্পিত ভাবে করেছে।
এ ব্যাপারে প্রবাসীর স্ত্রী শিল্পী আক্তার বলেন, আমার স্বামী ইতালি প্রবাসী সে দীর্ঘ দিন যাবৎ প্রবাসে থাকে। বিবাদীরা সিতারামপুর ইউনিয়ন পরিষদের অফিসের পাশে ঘর বাড়ি সহ ৭.২৫ শতাংশ জমি আছে উক্ত জমি বিক্রয় করিবে বলিয়া আমার স্বামী ও আমার সহিত কথা বার্তা হয়। উক্ত জমির ক্রয়মূল্য ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা নির্ধারণ হয়। বিবাদীদের টাকা প্রয়োজন হইলে সাক্ষীদের উপস্থিতি আমার ও আমার স্বামীর নিকট হইতে বাড়ির জমি বিক্রয়ের জন্য বায়না স্বরূপ ৩০/১০/২০২৩ ইং তারিখ ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা এবং দ্বিতীয় তারিখ ২৭/১২/২০২৩ ইং তারিখ রোজ বুধবার ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, মোট: ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা গ্রহন করেন। বিবাদীদের সহিত কথা থাকে যে, বিবাদীরা ১০/০৩/২০২৪ইং তারিখ উক্ত জমি রেজিস্ট্রি করিয়া দিবে কিন্তু বিবাদীরা উক্ত জমি রেজিস্ট্রারি করিয়া না দিয়ে তালবাহানা করিয়া বিভিন্ন তারিখ ও সময় ঘুরাইতে থাকে এক সময়ে দেখা গেল সে পালিয়েছে। ১৫/০৩/২০২৪ ইং তারিখ সকাল অনুমান ১০:০০ ঘটিকার সময় আমি বিবাদীদের বাড়িতে গিয়ে আমার নিকট জমি রেজিস্ট্রি করিয়া দেওয়ার কথা বলিলে তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ সহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি হুমকি দিয়া বিবাদীরা বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়
নিউজ রুমঃ [email protected] অথবা [email protected]
মোবাইল: +8809696195106 অথবা +8801715-395106
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com