দৈনিক পরিবর্তন।
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :
মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ১০ নং হাজীপুর ইউনিয়নের কটারকোনার বাসিন্দা কাতার প্রবাসী মোহাম্মদ জুবের মিয়া এবং তার পিতা জইর মিয়ার বিরুদ্ধে বিদেশে নেওয়ার কথা বলে জাল ভিসা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে অনেক হতদরিদ্র পরিবারকে নিঃস্ব করার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগকারী রিনা বেগম জানান তার স্বামী লেবু মিয়া এবং জুবের মিয়া একই ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং একসাথেই কাতার প্রবাসী, লেবু মিয়া কে জুবের মিয়া কিছু কাতারের ভালো এগ্রিমেন্ট ভিসা তার কাছে আছে বলে প্রলোভন দেখায়, এবং বিশ্বাস স্থাপনা করেন তারপর জুবের মিয়া দেশে এসে তার পিতা জইর মিয়া সহ তাদের এলাকার কিছু মুরব্বিদের সম্মুখে লেবু মিয়া ও তার স্ত্রী রিনা বেগম এর মাধ্যমে তাদের কিছু আত্মীয়দের থেকে থেকে বিভিন্ন ধাপে ৬ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা নেন,পরবর্তীতে তারা এই টাকা হাতে রেখে আরো টাকা দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে,বাধ্য হয়ে রিনা বেগম ও লেবু মিয়া আরো প্রায় ছয় লক্ষ টাকা জুবের মিয়া ও জইর মিয়াকে তাদের আত্মীয়দের থেকে নিয়ে দেন, এরপর বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হলেও তারা ভিসা নিয়ে কোন প্রকারের অগ্রসর না দেখায় লেবু মিয়া তাদের চাপ সৃষ্টি করে, এরপর জুবের মিয়া তাদের কিছু ভিসা দেয় যা পরবর্তীতে প্রমাণিত হয় জাল, এ বিষয়ে পঞ্চায়েত ও এলাকার মুরব্বীরা বিচার করে তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বললে জুবের মিয়া ও জইর মিয়া তা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায়,এবং টাকা ফেরত না দেওয়ার নানান পায়তারা করতে থাকে এবং এরপর থেকে তারা রিনা বেগম ও লেবু মিয়াকে নানান ভয় ভীতি ও হুমকি দিতে থাকে।
কাতার প্রবাসী লেবু মিয়া জানান, প্রতারক জুবের এর প্রতারণা পড়ে তিনি এবং তার পরিবার একেবারে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছেন এমত অবস্থায় তিনি দেশেও আসতে পারছেন না এদিকে জুবের মিয়া ও জহির মিয়া প্রতিনিয়ত তাকে এবং তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে এবং বিভিন্ন দিক থেকে বিভিন্নভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা করছে।
এদিকে তার আত্মীয়-স্বজনেরা ও তাদেরকে তাদের টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে অবিলম্বে এ বিষয়ে সুরাহা না হলে তাকে এবং তার পরিবারকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে।।
রিনা বেগম বলেন আমার স্বামী দেশে নেই এমতো অবস্থায় আমি আমার সন্তানদের নিয়ে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি ইতিমধ্যে আমি কুলাউড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি, পরবর্তীতে প্রয়োজনে তার স্বামী দেশে এসে আইনগতভাবে কোর্টে অভিযোগ করবেন,তিনি আরো বলেন থানায় অভিযোগের পর জুবের মিয়া পিতা আত্মগোপনে চলে গেছেন তাদের শঙ্কা আছে যেকোনো মুহূর্তে তারা দেশ ছেড়ে পলায়ন করতে পারে।
অভিযোগের তদন্তকারী অফিসার এ এস আই মহিউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন রিনা বেগম একটি অভিযোগ করেছেন যা আমরা তদন্ত করে দেখছি, অভিযুক্তকারীদের বাড়িতেও আমরা গিয়েছি তবে তাদের কাউকেই বাড়িতে পাইনি বা তাদের কারো সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করতে পারিনি, মামলার সুস্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে আমরা আইনানুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করব,এবং এ ধরনের প্রতারকদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জুবের মিয়া এবং তার পিতা জইর মিয়ার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাদের পাওয়া যায়নি।
এলাকাবাসী বলেন সুস্থ তদন্ত সাপেক্ষে এ ধরনের প্রতারকদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
নিউজ রুমঃ News.dainikparibarton@gmail.com অথবা News@dainikparibarton.com
মোবাইল: +8809696195106 অথবা +8801715-395106
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com