মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
আকষ্মিকভাবে গত ২৭ জুলাই থেকে ১৩ অব্ধি মৌলভীবাজার কমলগঞ্জের দলই চা বাগান বন্ধ রয়েছে। যার ফলে চা বাগানের শ্রমিক পরিবারগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে। উক্ত বাগানের শ্রমিক পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা দিতে মনু-ধলই ভ্যালীর ২৩টি চা বাগান শ্রমিকরা নিজেদের মজুরি থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রবিবার ( ৯ আগস্ট) সকাল ১১ ঘটিকায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি-সম্পাদক ও চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে দলই চা বাগানের সমস্যা নিয়ে মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মনু-ধলই ভ্যালীর কার্যকরী কমিটির সভাপতি ধনা বাউরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাশ পাইনকার পরিচালনায় মতবিনিময় সভা সম্পন্ন হয়েছে।
এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরী, মাধবপুর ইউপি চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানু, মাসিক চা মজদুর পত্রিকার সম্পাদক সীতারাম বীন, জাগরণ যুব ফোরামের সভাপতি মোহন রবিদাস সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, যে কারণে শ্রম আইনের ১৩ ধারা ব্যবহার করে চা বাগান বন্ধ করা হয় সে ধরণের কোন পরিস্থিতি বিরাজ করেনি দলই চা বাগানে। গত ২৩ জুন দলই চা বাগানের ব্যবস্থাপক অন্যায়ভাবে শ্রমিক রাধেশ্যাম ভরের সন্তানকে বেদড়কভাবে পিটিয়ে আবার উল্টো একটি মুচলেখা নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে এ পরিবার দলই চা বাগান ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। ফলে ২৩ জুন দলই চা বাগানের শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন ও চা বাগান ব্যবস্থাপকের অপসারণ দাবি করে।
চা বাগান কোম্পানীর উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে দু’দফা সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে দলই চা বাগানে স্বাভাবিক কাজ কর্ম চলাকালে গত ২৭ জুলাই বে-আইনীভাবে শ্রম আইন ১৩ ধারা ব্যবহার করে দলই চা বাগান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরবর্তীতে দু’দফা বৈঠক হলেও চা বাগান খোলার কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। ফলে দলই চা বাগানের শ্রমিকদের মজুরি বন্ধ থাকায় তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।