তরফদার মামুন
জেলা প্রতিনিধি মৌলভীবাজার।
শ্রীমঙ্গলে র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত দুইজনই কমলগঞ্জের আলোচিত নাজমুল হত্যা মামলার এজহারভুক্ত আসামি। নিহতরা হলেন- মামলার ৩ নম্বর আসামি তোফায়েল আহমদ ও ৮ নম্বর আসামি শহিদ মিয়া।
তোফায়েল ও শহিদের পরিবার তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।
রোববার (৭ নভেম্বর) মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে মাইজদিহি পাহাড়ে র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় র্যাবের তিন সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বসু দত্ত চাকমা জানান, আজ রোববার (৭ নভেম্বর) ভোররাতে শ্রীমঙ্গল মাইজদিহি পাহাড়ি এলাকায় টহলকালে র্যাবের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে তারা। তারপর র্যাবের পক্ষ থেকেও পালটা গুলি ছোঁড়া হয়। এসময় র্যাবের ৩ সদস্য আহত হন।
র্যাব জানায়, গোলাগুলি থামার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে অজ্ঞাত পরিচয় দুই ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। র্যাব তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়, দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
মরদেহ দুটি শ্রীমঙ্গল থানার ভেতরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে রাখা হয়েছে বলে জানায় র্যাব।
এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল থানার উপ পরিদর্শক মো. জামাল জানান, ভোরে শ্রীমঙ্গল র্যাব ক্যাম্প থেকে লাশ দুটি রেখে গেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত এখনও জানানো হয় নি।
উল্লেখ্য, গত ৩১ অক্টোবর দুপুর ২ টায় উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের চৈত্রঘাট বাজারে নাজমুল হাসান (৩৫) নামে এক ব্যবসায়ী নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পর সিলেটের একটি হাসপাতালে নেয়ার পর সন্ধ্যা ৭ টায় নাজমুল হাসানের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সংবাদের পর থেকেই ওই এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একটি মাইক্রোবাসযোগে এসে দুর্বৃত্তরা চৈত্রঘাট বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও রহিমপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসানের বাসার সম্মুখে তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত জখম করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সন্ধ্যা ৭ টায় চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত নাজমুল রহিমপুর ইউনিয়নের প্রতাপী গ্রামের লুকুছ মিয়ার ছেলে। মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর চৈত্রঘাট বাজার এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিক্ষুব্ধ জনতা একই এলাকার প্রতিপক্ষ জুয়েল আহমদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
রহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আজির উদ্দীন বলেন, প্রতাপী গ্রামের জুয়েল আহমদের সাথে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরসহ নানা বিষয় নিয়ে তাদের দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। গুরুতর আহতাবস্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি লাইভে নাজমুল হাসান ছুরিকাঘাতের সময় তোফায়েল, রাসেল, মাসুদ, তফজ্জুল নামের চারজনকে চিনতে পেরেছেন এবং অন্যদের চিনতে পারেননি বলে জানান।
নিউজ রুমঃ [email protected] অথবা [email protected]
মোবাইল: +8809696195106 অথবা +8801715-395106
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com