ওসমান গনি চৌধুরী
বিশেষ প্রতিনিধি,কক্সবাজার
কক্সবাজার পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র আলীর জাহাঁলে ঢাকার মাদানী নেসাব ও চট্টগ্রামের দারুল মা‘আরিফের সিলেবাসে প্রতিষ্ঠিত ‘মাদ্রাসাতুল মাদীনা কক্সবাজার’-এ সবক প্রদান, পুরস্কার বিতরণ,পাগড়ি প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দূপুর ২ঘটিকায় মাদ্রাসা হল মিলনায়তনে হাফেজ খুরশেদ আলম মুছার সঞ্চালনায়
আনুষ্ঠানিকভাবে ৫জন হিফজ সমাপনী ছাত্রদেরকে পাগড়ি প্রদান করেন, টেকনাফ সাবরাং নয়াপাড়া, মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মাহবুবুর রহমান মজাহেরী, হ্নীলা জামেয়া দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার মুহতামিম জননেতা আফসার উদ্দিন কাসেমী চৌধুরী, টেকনাফ উপজেলার সাবেক সফল ভাইস চেয়ারম্যান জননেতা আলহাজ্ব রফিক উদ্দিন। হিফজের সবক প্রদান করেন, রামু জামেয়াতুল উলূম মাদরাসার পরিচালক মাওলানা শমসুল হক নসীম দা.বা.তিনি শিক্ষার্থীদের কুরআন হিফজের বিষয়ে নানাবিধ দিক নির্দেশনাও প্রদান করেন।
এসময় মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার সালেহ আঃ মডেল মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা খালেদ হুসাইন ফাহিম, তরতিলুল কুরআন হিফয মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা সারওয়ার, উকিল পাড়া জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা নুরুল হাকিমসহ অভিভাবক/অভিভাবিকাবৃন্দ প্রমুখ।
রামু জামেয়াতুল উলূম মাদরাসার পরিচালক মাওলানা শমসুল হক নসীম দা.বা বলেন, পবিত্র কুরআন মাজিদের প্রতি যত্নশীল মনোযোগ সহকারে শেখা ও সুন্দর, শুদ্ধভাবে তিলাওয়াত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বক্তারা বলেছেন, পবিত্র কুরআন মাজিদের হাফেজরা আল্লাহর কুরআন সংরক্ষণ প্রক্রিয়ার অন্যতম অংশ। ইসলাম তাদের বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে। হাফেজদের অন্তরে কুরআন সংরক্ষণ আল্লাহর কুদরতের বহি:প্রকাশ। কেননা পৃথিবীর আর কোনো ধর্মগ্রন্থ এভাবে সংরক্ষণের নজির নেই। পবিত্র কুরআন মাজিদের শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে আজকের শিশুরাই হাফেজ হিসেবে গড়ে উঠে আগামী দিনে দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে ও শিরক, বি’দাতমুক্ত সমাজ গড়ে তুলবে। তাই পবিত্র কুরআন হিফজ করার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে নিতে হবে।
মাদ্রাসাতুল মাদীনা কক্সবাজার এর শিক্ষা পরিচালক মাওলানা মুফতি ইসহাক দা.বা. নাজেরা শিক্ষার্থীদের সবক প্রদান শেষে বলেন,
দিক-নির্দেশনামূলক আলোচনায় বক্তারা বলেন, মনোরম পরিবেশে ও জেনারেল শিক্ষার সমন্বয়ে ঢাকার আদলে মাদানী নেসাব অত্যাধুনিক কিতাব বিভাগ হিফজখানা ‘মাদরাসাতুল মাদীনা কক্সবাজার’র স্বীয় সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে পারলে কুরআনের আলো ছড়ানোর কার্যক্রমে কালের সাক্ষি হয়ে থাকবে।
টেকনাফ, হ্নীলা জামেয়া দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আফসার উদ্দিন কাসেমী চৌধুরী বলেন, কিয়ামতের দিন পুরো পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গেলেও একমাত্র অক্ষুন্ন থাকবে মহাগ্রন্থ আল কুরআন। আর যারা সন্তানকে এই কুরআনের হাফেজ বানাবে ভাবছেন তাদের মত ভাগ্যবান আর কেউ হতে পারেনা।
অনুষ্ঠানে হিফজের সবক নেওয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বলেন, আজ আমাদের খুব আনন্দ লাগতেছে, কারণ তারা নাজেরা পর্ব শেষ করে হিফজের সবক শুরু করেছে। আমাদের বিশ্বাস এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা একদিন সমাজ ও দেশ আলোকিত করবে। দুই পর্বের অনুষ্ঠান শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দু'আ ও মোনাজাত করেন, টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের নোয়াপাড়া জামেয়া ফারুকীয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মাহবুবুর রহমান মুজাহেরী। পরে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
নিউজ রুমঃ [email protected] অথবা [email protected]
মোবাইল: +8809696195106 অথবা +8801715-395106
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com