বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০২ পূর্বাহ্ন
আবদুল বাতেন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক:
শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মাবলম্বীই নন, হিন্দুরা দর্শনার্থীও আজমিরের এই দরগাহে উপস্থিত হন। এখানে নারীরাও প্রবেশ করতে পারেন। বহু হিন্দু নারীই এই দরগাহে আসেন মানত করতে।
এই মুহূর্তে খবরের শিরোনামে রয়েছে আজমিরের দরগাহ, তবে অন্য কারণে। শিব মন্দিরের উপরে এই দরগাহ বানানো হয়েছিল বলে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন হিন্দু সেনা নামে এক সংগঠনের সভাপতি ভিষ্ণু গুপ্তা। তার দাবির স্বপক্ষে অবসরপ্রাপ্ত বিচারক হরবিলাস সারদারের বইয়ের তথ্য-সহ তিনটে কারণ উল্লেখ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মি. গুপ্তা এবং সেখানে হিন্দুদের পুজো করার অনুমতির জন্যও আবেদন জানিয়েছেন।
ভিষ্ণু গুপ্তার দাবি, মন্দিরের অস্তিত্বের ঐতিহাসিক প্রমাণ রয়েছে। অন্যদিকে, আজমির দরগাহের প্রধান উত্তরাধিকারী এবং খওয়াজা মইনুদ্দিন চিশতির বংশধর সৈয়দ নাসিরুদ্দিন চিশতি ওই দাবিকে ‘সস্তা প্রচার পাওয়ার জন্য স্টান্ট’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের সম্ভলস্থিত শাহী জামা মসজিদকে ঘিরেও একই দাবি তোলা হয়েছিল। নিম্ন আদালতের নির্দেশে সেখানে জরিপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জরিপ চলছিল। জরিপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জানিয়ে হঠাৎ মসজিদ সংলগ্ন অঞ্চলে তিনদিক থেকে পাথর ও ইটবৃষ্টি শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা বেড়ে যায় এবং তাদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে। এই ঘটনায় চারজন মুসলিম ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। বিক্ষোভকারী, পুলিশ ও স্থানীয় কর্মকর্তা মিলিয়ে দু’পক্ষের একাধিক ব্যক্তি জখমও হয়েছেন।
এই আবহে, আগামী ২০শে ডিসেম্বর আজমিরের খাজা মইনুদ্দিন চিশতির দরগাহ সংক্রান্ত মামলার শুনানি রয়েছে। অন্যদিকে, জানুরারি মাসের আট তারিখ খাজা মইনুদ্দিন চিশতির উরস। সেই উপলক্ষ্যে প্রতিবছর দুই সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানে শামিল হন কয়েক লক্ষ মানুষ। বেশ আগে থেকেই উৎসবের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এই দরগাহকে ঘিরে যে দাবি ও পাল্টা দাবির ঝড় উঠেছে তাকে কেন্দ্র করে আজমিরের পরিস্থিতি অন্যবারের তুলনায় বেশ আলাদা।
সূএ: বিবিসি
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।