মঞ্জুর রহমান মুন্না,বাগমারা(রাজশাহী)প্রতিনিধি:
করোনাকালে কত অভ্যাসই না বদলে ফেলতে হয়েছে আমাদের। সারা দিনের কাজের শেষে বাড়ি ফেরার পর নিজেকে ও বাইরে ব্যবহৃত জিনিসপত্র জীবাণুমুক্ত করার অভ্যাস এখন। নতুন স্বাভাবিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই পরিচ্ছন্নতা পর্ব। অফিসে কাজ করতে সারা দিন যত না ক্লান্তি, বাসায় ফিরে সব জীবাণুমুক্ত করতে তার চেয়ে বেশি ক্লান্ত লাগে অনেকের। তবে ক্লান্তি যতই লাগুক, আলসেমি যতই ভর করুক, মানবজাতি এখন অনন্যোপায়। তাই হিমশীতল আমেজেও করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতন থাকতে হবে সবাইকে। এবারের শীত আসবে একটু অন্যরকম বার্তা নিয়ে। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কথা শীতে আরও বেশি মাথায় রাখতে হবে।
বাইরে থেকে ফিরে:
করোনাকালে বাইরে থেকে ফিরে প্রথমেই সাবান দিয়ে গোসল সেরে নেওয়া এবং পরনের কাপড়গুলো সাবান বা ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলার সু–অভ্যাস গড়ে তুলেছিলেন সচেতন মানুষেরা। কিন্তু শীতের সময়? শীতকালে বাইরে যাওয়ার সময় পরতে হবে গরম পোশাক, যা রোজ ধোয়া সম্ভব নয়। আবার বাইরে থেকে ফিরে রাতে ঠান্ডা সাবান-পানিতে গোসল করার কথা ভাবতেও হয়তো শীতে কাঁপবেন কেউ কেউ। তাহলে উপায় কী? বাইরে থেকে ফেরার সময় নিজের অজান্তে জীবাণু বয়ে আনতেই পারেন যে কেউ। বয়ে আনা জীবাণুর কারণে ঝুঁকিতে পড়তে পারেন তিনি নিজে, এমনকি বাসায় থাকা অন্যরাও। তাহলে সমাধান?
একসুত্রে জানা যায় বিশেষজ্ঞরা বলেন, কাপড়ের ওপর করোনাভাইরাস ঠিক কতক্ষণ বেঁচে থাকে, তা এখনো জানা যায়নি। এ–সংক্রান্ত নিশ্চিত তথ্য-উপাত্ত এখনো পাওয়া যায়নি। তবে নিরাপদ থাকার জন্য ব্যবহৃত শীতের পোশাকটি সাবান-পানিতে ধোয়ার সুযোগ না থাকলেও পুনরায় ব্যবহারের আগে অন্তত ৭২ ঘণ্টা অপেক্ষা করা ভালো। পুরো পৃথিবীতেই এ–সংক্রান্ত তথ্য এখনো উপলব্ধ নয়। তাই ঝুঁকি না নিয়ে বরং ওই পোশাক ব্যবহারের আগে অন্তত ৭২ ঘণ্টা পার করা উচিত। আর বাইরে থেকে ফিরে গোসল করা সম্ভব না হলেও শরীরের যেসব অংশ উন্মুক্ত থাকে, সেসব অংশ সাবান-পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। মুখ যেমন ধুতে হবে, তেমনি হাত ধুতে হবে কনুইয়ের ওপর পর্যন্ত। পা তো ধোবেনই। মাথা ঢাকতে একবার ব্যবহারোপযোগী টুপি পরতে পারেন, বাসায় এসে সেটি নির্দিষ্ট স্থানে নিরাপদ উপায়ে ফেলে দিতে হবে।
দূরে থাক জীবাণু:
বাইরে থেকে ফিরে নিয়মমাফিক জুতা খুলে এখন যেমন বাইরে রাখেন, শীতের দিনেও সেই নিয়ম মেনে চলুন। সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন শরীরের উন্মুক্ত অংশগুলো। স্যানিটাইজারও ব্যবহার করা যেতে পারে। পোশাক খুলে এমন একটি জায়গায় রাখুন, যেখানে রাখলে বাড়ির অন্য কেউ সেটিকে স্পর্শ করবে না। শিশু এবং পোষা প্রাণীদের নাগালের বাইরে রাখতে হবে অবশ্যই।
সাবান বা ডিটারজেন্ট দিয়ে ধোয়া সম্ভব না হলে ৭২ ঘণ্টা পর আবার ওই পোশাক পরতে পারবেন। তাহলে প্রতিদিন বাইরে যেতে হলে কিছু বাড়তি শীতের পোশাক রাখতে হবে, যা পরিধান করে পরবর্তী দিনগুলোতে আবার বাইরে যেতে পারবেন, আবার ফিরে এসে আলাদাভাবে কোথাও রেখে দিতে পারবেন (৭২ ঘণ্টা পার হওয়ার আগে এটিকেও আর স্পর্শ না করাই ভালো)। এ ছাড়া বাইরে ব্যবহৃত অন্যান্য সামগ্রী (যেমন চাবি, মুঠোফোন, মানিব্যাগ প্রভৃতি) জীবাণুমুক্ত করে নিন স্যানিটাইজার দিয়ে, যেমনটা করছেন পুরো করোনাকালে।
নিউজ রুমঃ [email protected] অথবা [email protected]
মোবাইল: +8809696195106 অথবা +8801715-395106
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com