বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন
আবদুল্লাহ আল তৌহিদ
নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(নোবিপ্রবি) ফ্যাসিবাদ আমলে মসজিদ লাইব্রেরিতে ইসলামিক বই রাখায় চাকরি হারালেন তৎকালীন ইমাম মো:আহসান উল্লাহ।
সম্প্রতি চাকরি ফিরে পাওয়ার আশায় রেজিস্ট্রার দফতর বরাবর ইমাম মো:আহসান উল্লাহর আবেদন পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি জানা যায়।
মসজিদের ইমাম মো: আহসান উল্লাহর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান-আমি দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমাম পদে চাকরি করে আসতেছি।পরবর্তীতে ২০১২ সালে আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদ পাঠাগারের জন্য কিছু বই ক্রয় করার নির্দেশনা দেয়। এই নির্দেশনার আলোকে আমি মসজিদ পাঠাগারের জন্য কিছু বই ক্রয় করি। সেই বইগুলোর মধ্যে একটি বই-এ লেখকের প্রাথমিক কথার মধ্যে তিনি লিখেছিলেন আমার এই বই প্রকাশনা উৎসবে বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ছিলেন তাঁরা হলেন বাইতুল মোকারামের খতিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রফেসর এবং বিশ্বনন্দিত মুফাসসিরে কুরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ আরো অনেকে ছিলেন। আল্লামা দেলোওয়ার হোসাইন সাঈদীর নাম কেন লেখা ছিল এজন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং ভিসির নির্দেশে আমাকে ইমাম পদ থেকে চুক্তি বাতিল করা হয়। ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ছিলেন অধ্যাপক ছায়েদুল হক।আমাকে মার্চ মাসের ২০ তারিখ অবগত করা হয় ১০ তারিখ থেকে আমার চাকরি নেই। একটি বইয়ের লেখকের প্রাথমিক কথায় মাওলানা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর নাম থাকায় আমাকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়।আমি বর্তমান প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার কামনা করছি।
সম্প্রতি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিযোগে বহিস্কার, স্থায়ীভাবে অব্যাহতি এবং নিয়োগপত্র প্রদান করার পরও যোগদানপত্র গ্রহণ করা হয়নি, এ সংক্রান্ত আবেদনপত্র গুলো যাচাই বাছাই করে প্রতিবেদন উপস্থাপনের লক্ষ্যে রিজেন্ট বোর্ডের অনুমোদনসাপেক্ষে প্রফেসর ড.মুহাম্মদ শফিকুল ইসলামকে আহ্বায়ক এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড.মুহাম্মদ আলমগীর সরকারকে সদস্য সচিব করে ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।রেজিস্ট্রার দফতরের এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এই বিষয়টি জানা যায়।
এই বিষয়ে তদন্ত ও প্রতিবেদন জমাদান কমিটির সদস্য-সচিব ড.মুহাম্মদ আলমগীর সরকার বলেন- বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষ হলে আমরা প্রতিবেদন জমা দিবো।
জানতে চাওয়া হলে তদন্ত ও প্রতিবেদন জমাদান কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড.শফিকুল ইসলাম বলেন -আমাদের কমিটি ইমাম আহসান উল্লাহর সাক্ষাৎকার নিয়েছে।আইনগত দিক পর্যালোচনা করে আমাদের কমিটি আগামী মাসের মধ্যে তদন্ত কাজ শেষ করে প্রতিবেদন জমা দিতে পারবো।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।