সোমবার, ১৪ Jul ২০২৫, ০৭:২১ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ চীনের করোনাভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বেও। মৃতের সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়েছে। কিন্তু এই মরণব্যাধি কিছুটা হলেও উপকার করল চীনের এক তরুণীর। নিজেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দাবি করে ধর্ষণের শিকার হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেলেন ওই তরুণী।
সম্প্রতি চীনের উহানের জিংসানে এই ঘটনা ঘটেছে। ডেইলি মেইল, দ্য সান ও সিনহুয়ার খবরে এ কথা বলা হয়েছে।
চীনের উহান থেকে তিন–চার ঘণ্টা পথের দূরত্বের শহর জিংসান। এ শহরের কাছের একটি এলাকা পিংবা। ওই এলাকার বাসিন্দা এক তরুণী রাতে বাড়িতে একা ছিলেন। ফাঁকা বাড়ির সুযোগ নিয়ে সেখানে ঢুকে পড়েন জিয়াও নামের এক ব্যক্তি। লুটপাটের পর ওই তরুণীকে ধর্ষণে উদ্যত হন তিনি। এ সময় নিজেকে বাঁচাতে তরুণী বলেন, তিনি চীনের উহান থেকে ফিরেছেন। তাঁর রক্তে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। তাই তিনি একা (আইসোলেশনে) এই বাড়িতে আছেন। অন্যরা চলে গেছে। এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে বারবার কাশতে থাকেন তিনি। এ কথা বিশ্বাস করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে মুঠোফোন ও অর্থকড়ি নিয়ে পালিয়ে যান জিয়াও।
পালালেও রক্ষা পাননি জিয়াও। পরে ওই তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে জিয়াওকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিজের অপরাধ স্বীকার করেছেন তিনি।
পুলিশ বলেছে, জিয়াও খুব দরিদ্র একজন মানুষ। তাঁর অর্থকড়ির সমস্যা ছিল। ওই দিন রাতে তাঁর কাছে কোনো কিছু্ই ছিল না। তাই তিনি চুরির উদ্দেশ্যে ওই বাড়িতে ঢোকেন। আর যখন দেখেন ওই তরুণী বাড়িতে একা, তখন তিনি ধর্ষণে উদ্যত হন। জিয়াও তাঁর অপরাধ স্বীকার করেছেন। তাঁকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
ক্রমেই ভয়াবহ আকার নিচ্ছে করোনাভাইরাস। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকেই। এক মাস আগে এক চিকিৎসক এ মরণ–ভাইরাসের হুঁশিয়ারি দিয়ে পুলিশকে সতর্ক করেন। তবে চীন সরকার সেটি খুব একটা আমলে নেয়নি। পরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ওই চিকিৎসকের মৃত্যু হয়।
নতুন করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল বলে পরিচিত চীনের হুবেই প্রদেশে এ ভাইরাসের সংক্রমণে সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা গেছে, এ রোগে মারা গেছে ৯ শতাধিক। একজন ছাড়া অন্যদের প্রাণহানি চীনের মূল ভূখণ্ড ও হংকংয়ে ঘটেছে। আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজারের বেশি।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।