ডেস্ক নিউজঃ

আজ বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টায় তিনি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের একটি হাসপাতালে

মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

সাহারা খাতুন কিডনি ও শ্বাসতন্ত্রের জটিলতায় ভুগছিলেন। গত সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধিন ছিলেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী আইন ছাত্র পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আইনজীবী সাহারা খাতুনের জুনিয়র হিসেবে কাজ করা

ওমর ফারুক প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ব্যাংককে সাহারা খাতুনের সঙ্গে তাঁর সহকারি আনিস ভাই রয়েছেন। তিনি আমাকে ফোন করে সাহারা আপার মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন।

সাহারা খাতুন ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এরপর তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। তিনি ঢাকা–১৮ সংসদীয় আসনে পরপর তিনবার নির্বাচিত হন।

এদিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সাবেক মন্ত্রী, এডভোকেট সাহারা খাতুন এমপি এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা

জানানো হয়েছে। ওই শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে সাহারা খাতুন গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আজীবন কাজ করে গেছেন এবং দলের দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে থেকে আইনীসহ সকল সাহায্য-সহযোগিতা প্রদান করেছেন।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, তাঁর মৃত্যুতে দেশ ও জাতি একজন দক্ষ নারী নেত্রী এবং সৎ জননেতাকে হারালো। আমি হারালাম এক পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে। প্রধানমন্ত্রী মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।