বিএমএসএফ
দেশে মহামারী করোনাকালে অনলাইন পত্রিকা ও আইপি টিভিগুলো জনসচেতনতায় দায়িত্বশীল ভুমিকা রাখছে। এ সকল মিডিয়াগুলো করোনার খবর ও সরকারের নির্দেশনা দ্রুত মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। প্রিন্ট পত্রিকাগুলোও তাদের অনলাইন ভার্সন চালু রেখে অনুরুপ সেবা দিয়েছেন। যার ফলে দেশের মানুষ দ্রুত করোনা থেকে মুক্তিতে করণীয় বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে। এ কারনে বিশ্বের অন্যসব রাষ্ট্রের চেয়ে বাংলাদেশের করোনা ঝুঁকিতে আক্রান্ত এবং মৃত্যু ঝুঁকি কম বলে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের পর্যবেক্ষনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এ অবস্থায় সরকারকে অনলাইন পত্রিকাগুলোকে নীতিমালা শিথিল করে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দেয়া উচিত বলে বিএমএসএফ মনে করে। অন্যথায় দেশে যে হারে অনলাইন পত্রিকার জন্ম হয়েছে সেগুলো অঙ্কুরেই বিনষ্ট হবে। পর্যবেক্ষনে দেখা গেছে এ সকল অনলাইন পত্রিকার বেশিরভাগেরই নেই প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো। গণমাধ্যমে অবাদ তথ্যপ্রবাহকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রয়োজন অনলাইনের জন্য স্বচ্ছ নীতিমালা। সেক্ষেত্রে তথ্য মন্ত্রণালয়কে সকল মিডিয়ার অভিভাবক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভুমিকা রাখা উচিত।
আগামি ৩০ বছরকাল এই অনলাইন পত্রিকা, আইপি চ্যানেল দেশে মানুষের সংবাদের খোড়াক যোগাতে সাহায্য করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ডিএফপির তথ্যমতে, দেশে বর্তমান নিবন্ধিত পত্রিকার সংখ্যা ৩ হাজার ২৫ টি। এরমধ্যে দৈনিক ১ হাজার ১শ ৯১ টি ৩টি অর্ধ মাসিক এবং ১ হাজার ১শ ৭৫টি সাপ্তাহিক পত্রিকাসহ ৪৫টি টেলিভিশন চ্যানেল রয়েছে।
এছাড়া জানুয়ারি মাসে তথ্যমন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে ২ হাজার ১৮টি অনলাইন পত্রিকা। বিশাল এই গণমাধ্যমের সাথে আরো হাজার খানেক এর পরে আত্মপ্রকাশ করে মিছিলে যোগ দিয়েছে। তবে পুরো এই গণমাধ্যম অঙ্গনকে ঢেলে সাজাতে সরকারকে উদ্যোগী হওয়া জরুরী। নয়তো এ সকল মিডিয়া নিয়ন্ত্রন ও দেখভাল করা দুরুহ হয়ে পড়বে।
আহমেদ আবু জাফর, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএমএসএফ, কেন্দ্রীয় কমিটি, ০১৭১২৩০৬৫০১,
নিউজ রুমঃ [email protected] অথবা [email protected]
মোবাইল: +8809696195106 অথবা +8801715-395106
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com