সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন
হেলাল উদ্দিন,সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জে সদর উপজেলার ৯ নং কালিয়াহরিপুর ইউনিয়নের অর্ন্তগত ছাতিয়ানতলীতে বালুমহলের উপরে বিদুৎ এর তারে জড়িয়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায় ।
বৃহস্পতিবার ৪ ফেব্রুয়ারী সকালে ছাতিয়ানতলী বসবাসরত গাজী আবুল হোসেনের মেয়ে মোছাঃ সেলিনা খাতুন (৩৫) তার বড় বোন হাসিনা খাতুনের বাড়ি সদর উপজেলার বনবাড়ীয়া গ্রামে বেড়াতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথে ছাতিয়ানতলী ৪নং ক্রসবাদের দক্ষিণের বালুমহালের উপর দিয়ে যাওয়ার পথে বালুমহালের উপরে বিদুৎ তারে জড়িয়ে মারা যায় বলে স্হানীয় সূত্রে জানা যায়।
দূর্ঘটনায় আত্নচিকিৎকারে এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে। বালুমহালের পাশ্বেই তার বাবার বাড়ি থাকায় ঘটনাটি শুনে তার আত্নীয়- স্বজনরা ছুটে আসেন। এর পূর্বেই ঘটনাস্থল হতে সেলিনা খাতুনের ভস্মীভূত দেহ সিরাজগঞ্জের ২৫০ শর্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে , সিরাজগঞ্জ সদর থানার এসআই মাহমুদ হাসান সহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং সদরহাসপাতালে মরদেহটি ময়নাতদন্ত শেষে শেলিনা খাতুনের লাশ তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এবং সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিহত সেলিনা খাতুন এর ভাই শহীদুুল ইসলাম জানান যে, আমার চার বোনের মধ্যে শেলিনা খাতুন তৃতীয় সয়দাবাদ ইউনিয়নের বড় সারটিয়া গ্রামের স্বামী আব্দুল মতিনের সঙ্গে বিবাহ হয়েছিল। বিগত প্রায় ১৪ বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। শেলিনা খাতুনের ২ টি কন্যা সন্তান মধ্যে একটির বিবাহ হয়েছে একটি নাবালক। স্বামী বিচ্ছেদের পর হতেই আমাদের কাছে থাকতো। এবং মাঝে মধ্যে বড় বোনের বাড়ীতে বেড়াতে যেতো আজও বড় বোন হাসিনা খাতুন বাড়িতে
যাওয়ার উদ্দেশ্য বাড়ি হতে বের হয়।
যাওয়ার পথে ছাতিয়ান তলী ৪নং ক্রসবাধের দক্ষিণের বিশাল বালুর স্তুপের উপর দিয়ে বিদুৎবাহিত তাড়ে হঠাৎ জড়িয়ে পড়ে। তার আত্নচিৎকারে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে। এলাকাবাসী অনেকেরই ধারনা
দূর থেকে বিদুৎবাহিত তার না দেখার ফলে হঠাৎ করে তার এ অপমৃত্যু হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। শেলিনা খাতুনের একমাত্র ভাই শহিদুল ইসলাম জানান সঠিক তদন্তের সাপেক্ষে তার বোনের শেলিনা খাতুনের ন্যায় বিচারের দাবি জানান।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।