শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৪৩ অপরাহ্ন
মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি :
শ্রীমঙ্গল সদর অফিসের তফসিলদার অশোক দেব সরকারি খাস জমি টাকার বিনিময়ে রিপোর্ট দিয়ে থাকেন।টাকার অংক প্রমান না থাকলেও কাগজে এবং নামজারী প্রস্তাবে প্রমানিত হয় কয়েক লক্ষ টাকার বিনিময়ে সরকারি খাস জমি ব্যাক্তি মালিকানার নামে পক্ষে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে।
অশোক দেব সরকারি অফিসে বসে সিগারেট খেতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এবং মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সরকারি খাস জমির রিপোর্ট দিচ্ছেন। সদর অফিসে হোল্ডিং খোলার নাম করে জনগণের কাছ থেকে ২০০-৫০০ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
শাহিন মিয়া (২৮) নামের ভাড়াউড়া গ্রামের একজন ভোক্তভোগী জানান,খাজনা কাটতে গেলেই হোল্ডিং খোলার জন্য ১ঘন্টা সময় বসিয়ে রাখা হয়।তারপর চা খাওয়া বাবদ অফিসের স্টাপ দিয়ে টাকা খোজে, কাগজে নি সমস্যা হয় সেই ভয়ে ২০০ টাকা দিতে বাধ্য হওয়ার পর খাতায় নামজারী খতিয়ান তুলা হয়।
মৌলভীবাজার জেলার মধ্যে শ্রীমঙ্গল উপজেলার সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিস একটি গুরুত্বপূর্ণ অফিস। ডিসি অফিস থেকে নির্দেশনা থাকলেও সরকারের ১ খতিয়ান হতে টাকার বিনিময়ে দেওয়া হয়ে থাকে প্রায় নামজারীর রিপোর্ট। ইদানীং আমাদের টিমের হাতে দুইটি নামজারীর রিপোর্ট আসে।শ্রীমঙ্গল এসিল্যান্ড অফিসের নাম বলতে অনিচ্ছুক একজনের সহযোগিতায় দুইটি নামজারীর খসরা খতিয়ান আমাদের টিমের হাতে চলে আসে।নামজারী আবেদন নাম্বার দিয়ে অনলাইনে দেখা যায় আবেদনের বর্তমান অবস্থান না মুঞ্জর হয়েছে।যার কারণ উল্লেখ রয়েছে দাগে সরকারি স্বার্থ রয়েছে এবং মালিকানা স্বত্ব প্রমাণিত না হওয়া।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ মহিবুল্লাহ আকন এবং সার্ভেয়ার জসিম উদ্দিনের সাবধানতার কারনেই দুটি আবেদনে ৩ একর ২৯ শতাংশ সরকারের নামে ১ খতিয়ানের রেকর্ডীয় ভূমি রক্ষা হয়।যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।